ডেস্ক রিপোর্ট
নাচ শেখানোর প্রলোভনে নারীদের কৌশলে ভারত হয়ে বিভিন্ন দেশে পাচারের অভিযোগে রাজধানীর বাড্ডা থানায় করা মামলায় চক্রের অন্যতম হোতা কামরুল হাসান ওরফে ডি জে কামরুল ওরফে ড্যান্স কামরুলসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
কারাগারে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন—আসাদুজ্জামান সেলিম, রিপন মোল্লা ও নাঈমুর রহমান ওরফে শামীম।
বুধবার (৩ নভেম্বর) দুদিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) আল-ইমরান আহম্মেদ।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী তাদের কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।
গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর বৌদ্ধ মন্দির এলাকা থেকে কামরুল হাসানকে আটক করে র্যাব-৪। কামরুলের দেওয়া তথ্যমতে নিকুঞ্জ এলাকা থেকে সেলিম ও রিপনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে চুয়াডাঙ্গা থেকে শামীমকে গ্রেফতার করে র্যাব।
এরপর ৩১ অক্টোবর এ তিন আসামির দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে এক ভুক্তভোগীর পিতা বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় মামলা করেন।
জানা গেছে, আসামি কামরুল ইসলাম ২০০১ সালে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এসে রিকশা চালানো শুরু করেন। পরে একটি বেসরকারি কোম্পানির পণ্য ডেলিভারি ভ্যানের চালক হিসেবে চাকরি নেন। কয়েক বছর পর একটি ‘ড্যান্স’ গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হন। এরপর হাতিরঝিল এলাকায় নিজেই গড়ে তোলেন একটি ড্যান্স ক্লাব।
উঠতি বয়সী মেয়েদের নাচ শিখিয়ে বিনোদন জগতের রঙিন স্বপ্ন দেখাতেন তিনি। পরে সেই তরুণীদের ভারতে পাচার করতেন। এ পাচার কাজ করতে গড়ে তোলেন একটি চক্র। চক্রটি এ পর্যন্ত শতাধিক নারীকে পাচার করেছে।
Discussion about this post