ভার্চুয়াল আদালতের অবতারণা
আপদকালীন সময়ে ভার্চুয়াল আদালতের ব্যবস্থা নিয়ে এসে আমরা আমাদের বিচার অঙ্গনে একটি মাইলস্টোন স্থাপন করেছি। কোভিড-১৯ এর জন্য দায়ী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সাথে সংগতি রেখে মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে সুপ্রীম কোর্টসহ অধস্তন আদালতসমূহের কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়। এমতাবস্থায় বিভিন্ন মহল থেকে বিচার নির্বাহ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার দাবি উঠলে, আদালতে শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালতের বিচারকার্য পরিচালনার নিমিত্তে মহামান্য রাষ্ট্রপতি গত ৯ মে, ২০২০ ইং তারিখে আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০ (অধ্যাদেশ নং ১, ২০২০) জারি করেন। এতে, সময়ে সময়ে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের বিজ্ঞপ্তিমূলে প্রচারিত প্র্যাকটিস নির্দেশনা অনুসরণ করে সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগের নির্ধারিত বেঞ্চসহ অধস্তন দেওয়ানি এবং ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহে “অতীব জরুরি” বিষয় এবং আবেদনসমূহ ভার্চুয়ালি (অডিও-ভিডিও বা অনূরূপ ইলেকট্রনিক পদ্ধতির মাধ্যমে) পরিচালনার কার্যক্রম শুরু হলে বাংলাদেশের বিচার অঙ্গন দেখে এক নতুন অভিজ্ঞতার মুখ।
অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করা
এরই ধারাবাহিকতায় পূর্বোক্ত অধ্যাদেশটিকে আইনে পরিণত করার উদ্দ্যেশ্যে বিল আকারে জাতীয় সংসদে প্রস্তাব উপস্থাপিত হলে সেটি দেশের একটি আইন (Act of Parliament) হিসেবে গৃহীত হয়। যার নামকরণ হয়, আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০। এই আইন প্রণয়নের পরপর মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তিমূলে আদালতে শারীরিক উপস্থিতিতে ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা দায়ের করার অনুমতিসহ জরুরি দরখাস্ত শুনানির জন্য অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহকে নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু, বিশেষ কিছু প্রকারের মামলা ব্যতীত (যেমন, সাকসেশন মামলা) অন্যান্য সকল ধরনের মামলাসমূহের মূল শুনানি, স্বাক্ষ্যগ্রহণ, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন প্রক্রিয়া বন্ধ রয়ে যায়। মূূূল মামলার কার্যক্রম আগাতে পারছিল না। এমন পরিস্থিতিতে নিয়মিত আদালত খুলে দেয়ার পক্ষে আইনজীবীদের দাবী জোড়ালো হলে, মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট গত ৩০শে জুলাই, ২০২০ ইং তারিখে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে চলতি মাসের ৫ তারিখ থেকে অধস্তন দেওয়ানি এবং ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহে শারীরিক উপস্থিতিতে ‘স্বাভাবিক বিচার কার্যক্রম’ পরিচালিত হবে মর্মে ঘোষণা করলে তা ইতোমধ্যে চালু হয়েছে। এর সাথে, আদালত প্রাঙ্গণ এবং এজলাসে সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করণে আরেকটি বিজ্ঞপ্তি দ্বারা সুপ্রীম কোর্ট সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কিছু নির্দেশিকা প্রদান করেন। অতঃপর, মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের দুটি পৃথক বিজ্ঞপ্তি ১০ই আগস্ট, ২০২০ ইং তারিখে প্রকাশিত হয়েছে, যার ফলে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ১৩ই আগস্ট থেকে হাইকোর্ট বিভাগের কিছু বেঞ্চ ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে চলবে এবং কিছু বেঞ্চ শারীরিক উপস্থিতিতে বিচার পরিচালনা করবে। কিন্তু, আপীল বিভাগের কার্যক্রম ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে।
এ সম্পর্কিত আরেকটি লেখাঃ ভার্চুয়াল আদালত বিশ্লেষণ ও সম্ভাবনা
যুগান্তকারী পদক্ষেপ
নিঃসন্দেহে যুগান্তকারী একটি আইন আমরা হাতে পেয়েছি, যেটি বিচার পদ্ধতিতে বপন করেছে এক নতুন যাত্রার বীজ। ভার্চুয়াল আদালতের ধারণা একটি আধুনিক সংযোজন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে আমরা ভার্চুয়াল আদালতের জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। আমরা যে ভার্চুয়াল ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে গিয়েছি বা চলেছি, তাতে আদালতের সকল কর্মকান্ড চলে না। সার্বিক বিচার নিশ্চিত হয় না। জনগণের বিচার পাওয়ার অধিকার রক্ষা হয় না। করোনাকালীন সময়কে বিবেচনা করে ভার্চুয়াল ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেক বিজ্ঞ আইনজীবী। কিন্তু আইনজীবীদের বিরাট একটি অংশ এখনো নাখোশ রয়েছেন। ব্যবস্থাটির পক্ষে-বিপক্ষে আইনজীবীদের মধ্যে চলছে চিন্তার দ্বন্দ ও যুক্তি উপস্থাপন। ভার্চুয়াল ব্যবস্থাকে যারা মেনে নিতে পারেন নি, তাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করার কোন সুযোগ নেই। ঘটনা প্রবাহে, আইনজীবীরা যেমন অপ্রস্তুত ছিলেন, তেমনি ঠিক এই মূহুর্তেই উপযুক্ত কার্যকরী ভার্চুয়াল ব্যবস্থা দেয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কারিগরি দক্ষতা ছিল না। তাছাড়া, আমরা বুঝতে পারছি, ভার্চুয়াল আদালতকে কার্যকরী করতে বিদ্যমান কিছু আইনে, বিশেষ করে স্বাক্ষ্য আইনের পাশাপাশি আদালতের কার্যপদ্ধতিগত আইনসমূহে (procedural laws) কিছু পরিবর্তন আনয়ন অত্যাবশ্যক ছিল। তবে, তড়িঘড়ি না করে, গ্রহণযোগ্য সমাধান দিতে হলে আইনপ্রণেতা এবং বিচার বিভাগের বোধ করি আরও সময় নেয়া প্রয়োজন।
দুই পদ্ধতির আদালত
নিয়মিত (শারীরিক উপস্থিতিতে কার্যক্রম) এবং ভার্চুয়াল – করোনা-উত্তর সময়ে এই দুই পদ্ধতির আদালত পাশাপাশি চলতে পারে কিনা আমাদের সেভাবে ভাবা উচিৎ। ‘স্বাভাবিক’ আদালত কার্যক্রম চালু করার দাবি জানিয়ে ভার্চুয়াল ব্যবস্থাকে অস্বাভাবিক ভাবা কিম্বা একেবারে খারিজ করে দেয়াটা যৌক্তিক হবে না। তথ্য-প্রযুক্তির যুগে এমন চিন্তা অনাধুনিক হবে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ ইউরোপ-আমেরিকার অনেকগুলো দেশে করোনার আঘাত আসার কয়েক বছর আগে থেকে ই-জুডিশিয়ারি নিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা ছিল। অনুমেয় যে, করোনাকালীন সময়ে সে সকল উদ্যোগ থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমাদের তুলনায় ওই দেশসমূহ বিচার কার্যক্রম সহজে চালিয়ে নিতে পেরেছে। নিয়মিত আদালতের পাশাপশি নির্ধারিত কিছু ভার্চুয়াল আদালতও থাকবে, এটাই স্বাভাবিক এবং আধুনিক চিন্তা। মূলত, এই নির্ধারিত ভার্চুয়াল আদালতসমূহ কিভাবে চলবে, কোন বিষয়, বিবাদ কিম্বা মামলা তাতে চলবে – সেগুলো নির্ধারণ করা এবং কার্যকর করাই হবে আমাদের আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ।
কিছু সুপারিশ
দুই ব্যবস্থাকেই আমাদের চাইতে হবে। করোনা পরবর্তীতেও ভার্চুয়াল আদালতকে নিয়ে আমাদের আগাতে হবে। হ্যাঁ, ভার্চুয়াল আদালত নিয়ে অনেক ভাবনার আছে। করোকালীন সময়ে এক ধরনের ভার্চুয়াল আদালত চললেও, করোনা-উত্তর সময়ে ভিন্ন পন্থায় চলবে – এ বিষয়টি আমাদের অনুধাবন করতে হবে। সে সময়ে নিশ্চয় ভার্চুয়াল ব্যবস্থা অনুসারে আদালত পরিচালনা অনেক সহজ হবে। কেননা নিয়মিত আদালত খোলা থাকলে, ভার্চুয়াল মামলার কিছু প্রাথমিক, আনুসঙ্গিক, জরুরি কিম্বা জটিল কার্যক্রম শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে সম্পাদন করে নিলে দোষের কিছু হবে না। প্রাথমিক চিন্তার খোরাক হিসেবে ভার্চুয়াল আদালতকে কার্যকর করার ব্যাপারে কিছু সুপারিশ হচ্ছে,
(ক) ভার্চুয়াল আদালতকে পুরোপুরি ভার্চুয়াল তথা ইলেকট্রনিক মাধ্যম দ্বারা সম্পন্ন কিভাবে করা যায় সে ব্যবস্থা করতে হবে;
(খ) আধুনিক এবং কার্যকর নিজস্ব সফটওয়্যার (mobile app কিম্বা website) তৈরি করতে হবে (এর মাধ্যমে মামলা দায়েরের কাজ হবে। দরকার হলে একটি কেন্দ্রীয় সফটওয়্যার তৈরি হবে এবং সেটির আদলে ও নিয়ন্ত্রণে বিভাগ বা জেলা ভিত্তিক আলাদা আলাদা সফটওয়্যার তৈরি হতে পারে। এই সফটওয়্যারে প্রত্যেক আইনজীবীর জন্য আলাদা আলাদা একাউন্ট খোলার ব্যবস্থা থাকবে। ইমেইল চালাচালি বা লিংক দেয়া-নেয়া বাদ দিয়ে একটি সফটওয়্যার-ই বিচারক, আইনজীবী এবং আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যবহার করবেন। কোন একটি মামলার দলিলাদি মামলার রেফেরেন্স/ডকেট নাম্বার অনুসারে একত্রিত থাকবে। একজন বিচারক কিম্বা আইনজীবী চাইলে সহজে সেই মামলার কজ টাইটেল বা লিংকে ক্লিক করে আবেদন এবং দলিলাদির দেখতে পাবেন। একই সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ভার্চুয়াল (ভিডিও) শুনানির আয়োজন করতে হবে। এই সফটওয়্যারে তথ্য নিশ্চিতরূপে সুরক্ষিত থাকতে হবে।);
(গ) কিছু আদালত নির্ধারণ করতে হবে যেগুলো ভার্চুয়াল মামলা গ্রহণ এবং পরিচালনার এখতিয়ার সম্পন্ন থাকবে (বর্তমানে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ সেভাবে চলছে। এছাড়াও, কোন কোন আদালতের দৈনিক কার্য পরিচালনার সময়কে নিয়মিত এবং ভার্চুয়াল হিসেবে ভাগ করে নেয়া যেতে পারে।);
এ সম্পর্কিত আরেকটি লেখাঃ আদালতের ভার্চুয়াল কার্যক্রমঃ প্রাসংগিক ভাবনা
(ঘ) বিচার প্রক্রিয়ার কিছু কিছু বিষয় বা মামলা ভার্চুয়াল আদালতে নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা করা যেতে পারে (এটি সম্ভব, যার উদাহরণ বর্তমান আদালতসমূহ বিশেষ করে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের উভয় বিভাগ তৈরি করে চলেছেন। মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের দুই-একটি বেঞ্চ এবং অধস্তন আদালতসমূহের কিছু আদালত নির্ধারিত করে রাখা যেতে পারে যারা কিনা ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে মামলা পরিচালনা করবেন। সে অনুসারে কিছু সুনির্দিষ্ট মামলা এবং/অথবা মামলার ইন্টারিম বিষয় ভার্চুয়াল আদালতে করার জন্য নির্ধারিত থাকবে। সেই নির্ধারিত মামলা বা বিষয়গুলো ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে। এছাড়াও অন্যান্য মামলার ক্ষেত্রে বাদী বা বিচারপ্রার্থী পক্ষ যদি মামলা দায়েরের সময়েই ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে মামলা পরিচালনার জন্য ইচ্ছাপত্র প্রদান করেন, সেক্ষেত্রে বিবাদী পক্ষের সম্মতি নিয়ে মামলাটিকে নির্ধারিত ভার্চুয়াল আদালতে প্রেরণ করে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা যায়। অর্থাৎ, একজন আইনজীবী সিদ্ধান্ত নিবেন তিনি কোন পদ্ধতি গ্রহণ করে মামলা পরিচালনা করবেন। কোন কোন মামলার ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের নিয়োজিত আইনজীবীরা ভার্চুয়ালি মামলা পরিচালনায় একমত হলে মামলাটি সম্পূর্ণ ভার্চুয়াল শুনানির মধ্য দিয়ে চলতে পারে। এতে করে ভার্চুয়াল পদ্ধতি ব্যবহারে আমাদের অভিজ্ঞতা বাড়তে থাকবে, আর সঙ্গে আধুনিকায়নের কাজ হবে।);
(ঙ) মামলার আনুসঙ্গিক দলিলাদি ডিজিটালি পাওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে হবে (আদালতের আদেশ বা রায়সমূহের নকল, বেইল বন্ড, ওকালতনামা ইত্যাদির ক্ষেত্রে কাগজের ব্যবহার পরিহার করে ডিজিটাল/সফ্ট কপি তৈরি হতে পারে। এমন হতে পারে, একজন আইনজীবীর অনলাইন আবেদন এবং তৎসংক্রান্ত ফি অনলাইন পদ্ধতিতে জমা প্রদানের প্রেক্ষিতে চাহিত নথি-তথ্যাদি আইনজীবীর নির্দিষ্ট একাউন্টে পাঠানো যাবে।);
(ছ) স্বাক্ষ্য আইনসহ দেওয়ানি কার্যবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি এবং বিশেষ আইনসমূহে বর্ণিত মামলা পরিচালনার পদ্ধতি যেগুলো ভার্চুয়াল আদালতের সাথে সম্পর্কিত হবে, সেগুলোতে সংশোধন আনতে হতে পারে (এতদলক্ষ্যে প্রয়োজন সাপেক্ষে সদ্য প্রণীত আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০-এ পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংশোধন এনে সমন্বয় সাধন করতে হবে।); এবং
(জ) বিচারক, আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আইনজীবীদের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার সহজ করতে সর্বাত্মক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। আগ্রহী আইনজীবীদেরকে কম্পিউটার সামগ্রী কেনাকাটার ব্যাপারে আর্থিক প্রণোদনা দিতে হবে। এছাড়াও, অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের মধ্য দিয়ে সময়ে সময়ে ভার্চুয়াল আদালত পদ্ধতির পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়া চলতে থাকবে।
বিচার প্রক্রিয়ায় অপূরণীয় ক্ষতি
আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে বিচার প্রক্রিয়ায় যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেছে তা বিবেচনায় এনে অধস্তন আদালতসমূহ খুলে দেয়া এবং মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের কিছু বেঞ্চে শারীরিক উপস্থিতিতে মামলা পরিচালনার ব্যবস্থাকে স্বাগত জানাই। তবে যুগান্তকারী যে ভার্চুয়াল ব্যবস্থাটি আমরা পেয়েছি সেটি যেন নির্মূল না হয়ে যায়। দুই পদ্ধতির সুযোগ পাশাপাশি থাকুক। একটির উপস্থিতি যেন অন্যটির কবর না হয়। কোন কারণে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে কিম্বা অন্য কোন দুর্যোগ বা মহামারিতে (Act of God) পূণরায় যেন আমরা ভার্চুয়ালে ফেরত যেতে পারি সে পথ উন্মুক্ত রাখতে হবে। করোনা-উত্তর বাংলাদেশে নিয়মিত (শারীরিক উপস্থিতিতে কার্যক্রম) এবং ভার্চুয়াল – উভয় পদ্ধতির আদালত ব্যবস্থা নিয়ে আমরা আগাতে চাই। শেষ কথা, আমাদের বিচার ব্যবস্থা ভার্চুয়াল আদালত পদ্ধতি ধারণ করে উত্তোরত্তর আধুনিক হোক।
আহমদ মুসাননা চৌধুরী,
আইন বিষয়ক গবেষক, এবং
অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।
Discussion about this post