বিডি ল নিউজঃ
আসাদুজ্জামান নূরের ওপর হামলা শুধু ব্যক্তিগতভাবে তার ওপর নয়, দেশের প্রত্যেকটি সংস্কৃতিকর্মীর ওপর হামলা। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী সংগঠন জামায়াত-শিবিরের এ তাণ্ডব সংস্কৃতিকর্মীরা মানবে না। তারা রাজপথে নেমে বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো এর প্রতিরোধ করবে। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের গাড়িবহরের ওপর নীলফামারীতে জামায়াত-শিবিরের ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এ কথা বলেন। শিল্পকলা একাডেমির সামনে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন আয়োজিত এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ, সহ-সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, নাট্যজন আতাউর রহমান, মামুনুর রশীদ, ড. ইনামুল হক, সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল প্রমুখ। ফেডারেশনের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল ঝুনা চৌধুরী।
পাকিস্তানের প্রাবন্ধিক হামিদ মীর ও ক্রিকেটার ইমরান খানকে লক্ষ্য করে নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বলেন, এরা শুধু নয়, পাকিস্তানের কেউই মানবতার পক্ষে নয়। এরা পাকিস্তান নামে একটি কর্পোরেট রাষ্ট্রের শুভেচ্ছা দূত। সুতরাং এদের বর্জন করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ৭১, ৯০, ৯২, ৯৫-৯৬ সালে দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সংস্কৃতিকর্মীরা রাজপথে ছিল, এখনও থাকবে। ড. ইনামুল হক বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি আমাদের ওপর হামলা করবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ একাত্তরের বিজয়ের পর আমরা এতটাই আবেগাপ্লুত হয়ে গিয়েছিলাম ও আত্মতুষ্টিতে ভুগছিলাম, যে পরাজিত শক্তিদের যে দেশ থেকে উত্খাত করতে হবে, তা ভুলে গিয়েছিলাম। তারা সে সময় আহত হয়েছিলেন, নিহত নয়। এখন সময় এসেছে তাদের দেশ থেকে চিরতরে নির্মূলের। অন্য বক্তারা সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেন, জামায়াত-শিবির এরপরও প্রগতিশীল মানুষকে আক্রমণ করে। আপনারা প্রকৃত বুলেট ব্যবহার করে এদের সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন করুন। সমাবেশে সভাপতি লিয়াকত আলী লাকীর সঙ্গে আগত সবাই এককণ্ঠে ‘মাগো ভাবনা কেন আমরা তোমার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে, তবু শত্রু এলে অস্ত্র তুলে ধরতে পারি’ গেয়ে সমাবেশ শেষ হয়। এরপর বের করা হয় বিক্ষোভ-মিছিল।
Discussion about this post