নির্বাচনের দুই মাস পর বৃহস্পতিবার নেপালের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা পদত্যাগ করেন। এরপর নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অলির নাম ঘোষণা করে বামপন্থী জোট ইউএমএল ও সিপিএন-এমসি। নির্বাচনে এ জোটের স্বস্তিদায়ক সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। ২৭৫ সদস্যবিশিষ্ট হাউস অব রিপ্রেজেন্টেন্টিভে ইউএমএল পেয়েছে ১২১টি আসন এবং সিপিএন-এমসি পেয়েছে ৫৩টি আসন। নেপালের সংবিধানের ৭৬ (২) ধারার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে অলিকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্টের বাসভবন শীতল নিবাসে অনুষ্ঠিত হয় শপথ গ্রহণ। প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করান। মন্ত্রী লাল বাবু পন্ডিত এবং থাম মায়া থাপাকে নিয়ে তিন সদস্যের একটি মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেছেন নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রী লাল বাবু পন্ডিত জনসংখ্যা ও পরিবেশবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে এবং থাম মায়া থাপা নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারাও শপথ গ্রহণ করেছেন।
২০০৬ সালের তীব্র গণআন্দোলনের মুখে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে। নেপাল গণতান্ত্রিক দেশরূপে আত্মপ্রকাশ করে। মাওবাদীদের সশস্ত্র আন্দোলনের অবসানের ১১ বছর পর নতুন সংবিধানের অধীনে কে পি শর্মা অলি প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন। নেপালকে হিন্দু রাজতন্ত্র থেকে ফেডারেল রিপাবলিক কাঠামোতে রূপান্তর করতেই নতুন সংবিধান প্রণীত হয়। এবারের নির্বাচনে মূল লড়াই হয় প্রধান দুই রাজনৈতিক জোটের মধ্যে। জোট দুইটি হচ্ছে শের বাহাদুর দেউবার নেপাল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ‘গণতান্ত্রিক জোট’ এবং বাম দলগুলোর মঞ্চ ‘বাম জোট’। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেউবা মাত্র আট মাস দায়িত্ব পালন করেন। তার তত্ত্বাবধানে ও নতুন সংবিধানের অধীনে অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচনে কমিউনিস্ট জোট যুগান্তকারী জয় পায়।
Discussion about this post