ডেস্ক রিপোর্ট
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনির বারবার রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়ে ব্যাখ্যা দাখিলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দুই বিচারককে আরও এক সপ্তাহ সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ দুই বিচারক হলেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম।
বুধবার (২৪ অক্টোবর) নির্ধারিত দিনে ব্যাখ্যা দাখিলে সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিন ব্যাখ্যা দাখিলে দুই বিচারকের পক্ষে এক সপ্তাহ সময়ের আবেদন করেন তাদের আইনজীবী আবদুল আলীম মিয়া জুয়েল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবু ইয়াহিয়া দুলাল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।
পরীমনির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না এবং তার সঙ্গে ছিলেন সৈয়দা নাসরিন।রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান মিজান আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মাদক আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুর বিষয়ে দুই বিচারক ও তদন্ত কর্মকর্তার (কাজী গোলাম মোস্তাফা) ব্যাখ্যা দাখিল নিয়ে শুনানির দিন ধার্য থাকলেও আজ শুনানি হয়নি। দুই বিচারকের আইনজীবীর করা এক সপ্তাহ (নট দিজ উইক) সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।
এ বিষয়ে আবদুল আলীম মিয়া জুয়েল বলেন, দুই বিচারকের লিখিত ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য এক সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়। আদালত এক সপ্তাহ সময় মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা আদালতে দাখিল করা হবে।বিচারক দেবব্রত বিশ্বাস দ্বিতীয় দফায় দুদিন এবং বিচারক আতিকুল ইসলাম তৃতীয় দফায় পরীমনিকে একদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছিলেন।
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের কাজলের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হয়। ওইদিন তদন্ত কর্মকর্তার ব্যাখ্যা ‘সন্তোষজনক নয়’ উল্লেখ করে ২৪ অক্টোবরের মধ্যে তাদের আবারও আদালতে ব্যাখ্যা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্যও ২৪ অক্টোবর দিন ধার্য রাখেন আদালত। তবে দুই বিচারকের পক্ষে সময় আবেদন করায় আজ শুনানি না করে আদালত সময় মঞ্জুরের আদেশ দেন।
Discussion about this post