আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো হিন্দু নারী সিনেটে এমপি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। দেশটির বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) থেকে কৃষ্ণা কুমারী নামের এ নারীকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল। তিনি পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে সংরক্ষিত নারী আসনে জয় লাভ করেন।
শনিবার পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রার্থী হিসেবে তিনি সিন্ধু প্রদেশে সিনেটের সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত হন। রবিবার পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ডনের অনলাইন সংস্করণে এ খবর জানানো হয়।
কৃষ্ণা কুমারী বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত। সিনেটে পৌঁছানো আমার জন্য অচিন্তনীয় বিষয় ছিল।’ আমি নির্যাতনের শিকার মানুষের অধিকারের লড়াই তিনি চালিয়ে যাবো। বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ে কাজ করবো।
কৃষ্ণা তাঁর এই সফলতা মা-বাবাকে উৎসর্গ করে জানান, শিক্ষা গ্রহণে বাবা-মাই তাকে উৎসাহ জুগিয়েছেন। তাঁদের কারণে তিনি পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
ডন জনায়, ১৯৯৪ সালে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় ১৬ বছর বয়সে তিনি সিন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লাল চাঁদকে বিয়ে করেন। বিয়ের পরও তিনি পড়ালেখা চালিয়ে যান। সিন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে এম এ করেন। ২০০৫ সালে তিনি সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীর যোদ্ধা রুপলো কোহলির পরিবারের সদস্য কৃষ্ণার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির থার অঞ্চলের এমপি মহেশ কুমার মালানি। নির্বাচনের আগে ডনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সেই আশাবাদের কথা জানিয়েছিলেন তিনি। রুপলো কোহলি ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশ বাহিনীর ওপর আক্রমণের কারণে নগরপার্কারে গ্রেপ্তার হন এবং ১৮৫৮ সালের ২২ আগস্ট তাকে ফাঁসি দেয়া হয়।
একসময় শিশু অবস্থায় বাবা-মায়ের সঙ্গে একজন ধনী ভূস্বামীর জমিতে শ্রম দিতে বাধ্য হয়েছিলেন কৃষ্ণা। তেমন সম্পদশালী জমির মালিকদের সঙ্গে এবার এক কাতারে দাঁড়িয়ে সিনেটর হিসেবে শপথ নেবেন তিনি।
Discussion about this post