ডেস্ক রিপোর্ট: টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা চৌধুরী মধ্যপাড়া এলাকায় র্যাবের সঙ্গে ও ময়মনসিংহে সদর উপজেলার আকুয়া দরগাপাড়া খালপাড়সংলগ্ন একটি ইটভাটার সামনে ডিবির সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহত শরিফ সদর উপজেলার গালা গ্রামের মৃত চান মিয়া ওরফে নয়ন গাজীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল থানায় হত্যা, ডাকাতিসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন।
রবিবার গভীর রাতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা চৌধুরী মধ্যপাড়া এলাকায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সভাপতি (লাল পতাকা) শরিফ ওরফে ফরহাদ (৩৩) নিহত হয়েছেন।
র্যাব-১২ সিপিসি ৩ এর কোম্পানি কমান্ডার রবিউল ইসলাম জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গভীর রাতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা চৌধুরী মধ্যপাড়া এলাকায় অভিযান চালায় র্যাবের একটি দল। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে চরমপন্থীর দলের সদস্যরা গুলি চালায়। র্যাবও পাল্টা গুলি চালালে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির জেলা শাখার সভাপতি ফরহাদ গুলিবিদ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বলে জানান ওই র্যাব কর্মকর্তা।
এদিন রাত সোয়া ১টার দিকে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া দরগাপাড়া খালপাড়সংলগ্ন একটি ইটভাটার সামনে পাকা সড়কের পাশে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পায়েল (২৯) নামের এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হন। নিহত পায়েল শহরের পুরোহিতপাড়া এলাকার জালালের ছেলে। সে আটটি মাদক ও চাঁদাবাজির ১১টি মামলার আসামি।
অন্যদিকে, ময়মনসিংহে কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় জেলা গায়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানিয়েছেন, সদর উপজেলার আকুয়া দরগাপাড়া খালপাড় সংলগ্ন একটি ইটভাটার সামনে পাকা সড়কের পাশে মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে ছয়-সাতজন মাদক ব্যবসায়ী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যান। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পায়েলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও ওসি জানান।




Discussion about this post