পেশাগত অসদাচরণের অভিযোগে আইনজীবীদের সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও দেশের আইন পেশার সর্বোচ্চ সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল তিন আইনজীবীকে আইন পেশা থেকে অপসারণ করেছে। এরা হলেন- চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ শফিউল আজম ও অ্যাডভোকেট মোঃ তসলিম উদ্দিন এবং ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট মিনারা খাতুন লাকি।
আজ মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পৃথক দুটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিন আইনজীবীর অপসারণের তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অ্যাডভোকেট মিনারা খাতুন লাকির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ হচ্ছে তিনি একটি দায়রা মোকদ্দমায় (মামলা নং ৩৪০/২০১১) বাদিনী মোসাম্মৎ বিউটির স্বামীকে জামিন করিয়ে দিবেন বলে ভুয়া, বানোয়াট ও সাজানো জামিন নামা এবং রিলিজ আদেশ তৈরি করে বাদির কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের উদ্দেশ্যে মক্কেলের সাথে প্রতারণা করেছেন। অভিযোগটি পরে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ৫ নং ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান মোঃ পারভেজ আলম খান ও সদস্য মোঃ মাসুদ সালাউদ্দিন অভিযুক্ত আইনজীবী মিনারা খাতুন লাকিকে আইন পেশা থেকে স্থায়িভাবে অপসারণের আদেশ দেন।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম বারের দুই আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে- একটি নালিশি সম্পত্তির বিষয়ে চট্টগ্রাম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে বাদী মোঃ মোসাদ্দেক চৌধুরী মোকদ্দমা দায়ের (মামলা নং- ১৮১/০৮) করলে ঐ মামলায় নিয়োজিত আইনজীবীদ্বয় অ্যাডভোকেট মোঃ শফিউল আজম ও অ্যাডভোকেট মোঃ তসলিম উদ্দিন পরস্পর যোগসাজশে উক্ত সম্পত্তি নিজ ও স্ত্রীদের নামে রেজিঃ বায়নানামা তৈরি করেন। পরে আইনজীবীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলে পেশাগত অসদাচরণের দায়ে ১ নং ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াহিয়া ও সদস্য মোঃ পারভেজ আলম তাদেরকে আইন পেশা থেকে স্থায়ীভাবে অপসারণের আদেশ দেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
Discussion about this post