কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী নিহত সোহাগী জাহান তনুর প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে ধর্ষণের কোন আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান কামদা প্রসাদ সাহা। তবে ময়নাতদন্তে মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কোন কারণ পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
কুমিল্লা সেনানিবাসে এই হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিন পর সোমবার (০৪ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের চিকিত্সক দল।
তনুর প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিত্সক ডা. কামদা প্রসাদ সাহা সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, ময়নাতদন্ত দলের সদস্য ফরেনসিক বিভাগের চিকিত্সক শারমিন সুলতানা বিকালে তার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। তিনি এখন প্রতিবেদনটি পুলিশে দেবেন। কামদা জানান, ওই প্রতিবেদনে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
২০ মার্চ রাতে তনুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। ওই দিনগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে জেলার মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের বাড়িতে তনুকে দাফন করা হয়। হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন পর মামলাটি কুমিল্লা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হলে মরদেহ পুনঃময়নাতদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমিল্লা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর আলম এ আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কুমিল্লার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাব বেগম মরদেহ উত্তোলনের আদেশ দেন। ৩০ মার্চ বেলা পৌনে ১২টায় তনুর মরদেহ উত্তোলন করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পুনঃময়নাতদন্ত করে ওই দিনই পুনরায় দাফন করা হয়। এদিকে, ২৯ মার্চ মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
Discussion about this post