নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার) নেতারা। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি জ্যেষ্ঠ কয়েকজন আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করেন।
সোমবার (২৩ মার্চ) দুপুরে সমিতির সভাপতি এএম আমিন উদ্দিন ও সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রধান বিচারপতির সঙ্গে তার খাস কামরায় সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতের পর সভাপতি এএম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কীভাবে করোনা থেকে আমরা আইনজীবীসহ সবাই মুক্ত থাকতে পারি সার্বিক বিষয়ে কথা হয়েছে। এ সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি অন্যান্য বিচারপতিদের সঙ্গে বসবেন, তারপর তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।
এদিকে রবিবার (২২ মার্চ) এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল ও আইনমন্ত্রী। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল, আদালত বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে প্রধান বিচারপতি অন্যান্য বিচারপতিদের সঙ্গে বসবেন। সেটা ২৬ মার্চের আগেই হতে পারে। এছাড়া রাষ্ট্রের অন্যান্য সংস্থাগুলোও এর মাঝে কী করে সেটাও তিনি দেখবেন।
এরপর বিকেলে একটি সার্কুলার জারি করে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন। ওই সার্কুলারে বলা হয়, করোনা ভাইরাসজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দেশের অধস্তন আদালতগুলোতে জনসমাগম পরিহার করা প্রয়োজন। এ উদ্দেশ্যে দেশের অধস্তন আদালতগুলোতে জামিন/অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও জরুরি বিষয় ব্যতীত অন্যান্য বিষয় যৌক্তিক সময়ের জন্য মূলতবি করা আবশ্যক।
এমতাবস্থায় দেশের অধস্তন আদালতগুলোতে জামিন/অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও জরুরি বিষয় ব্যতীত অন্যান্য বিষয় যৌক্তিক সময়ের জন্য মুলতবি করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
এর আগে মুজিবর্ষ উপলক্ষে ১৮ মার্চ সুপ্রিমকোর্টে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছিলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে আমরা সচেতন। আমরা সব জজ সাহেব বসে সিদ্ধান্ত নেবো যে, এটা নিয়ে কী করা যায়। আপাতত এখন কোর্ট বন্ধ (অবকশকালীন ছুটি) আছে। খোলার আগে আমরা একবার সবাই বসবো। সাধারণ মানুষ ও বিচারপ্রার্থীদের যেন ক্ষতি না হয়, সেদিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। সবকিছু খেয়াল রেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।
নিম্ন আদালতের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, নিম্ন আদালতও সুপ্রিমকোর্টের আন্ডারে। সুতরাং, আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো। কারণ লাখ লাখ বিচারপ্রার্থীর কথা মাথায় রাখতে হবে। এরকমভাবে কোর্ট যদি পরিপূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে মানুষের সাফারিংস অনেক বেড়ে যেতে পারে। কারণ অনেক জরুরি বিষয় নিয়ে কোর্টে আসে। সুতরাং, এগুলো নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত নেবো।
Discussion about this post