নিজস্ব প্রতিবেদক: ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ‘পর্দা কেলেঙ্কারির’ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় দুই আসামিকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর একটি হলো, বিলের টাকা না তোলা এবং অপরটি হচ্ছে, মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিলের টাকা দাবি করতে পারবেন না তারা।
আজ রবিবার (২১ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভার্চুয়াল বেঞ্চ আসামিদের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
আসামি দুজন হলেন- ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অনিক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন। ওই দুজন বিচারিক আদালকে আত্মসমর্পণের পর ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন।
আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও আইনজীবী মো. সাইফুল্লাহ মামুন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীন আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের বলেন, বিলের টাকা উত্তোলন না করার শর্তে নিয়মতি কোর্ট খোলার এক সপ্তাহ পর্যন্ত তাদের জামিন দেয়া হয়েছে। আর মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যত বিলের টাকা দাবি করতে পারবেন না আসামিরা।
গত বছরের ২৭ নভেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী বাদী হয়ে ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। ফরিদপুরের দুদকের সহকারী পরিচালক কমলেশ মণ্ডল মামলাটি রেকর্ড করেন। মামলা নম্বর- ৪।
মামলায় আসামি করা হয়েছে সরবরাহকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান অনিক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন, মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্সি ফররুখ আহমেদ, জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক (দন্ত বিভাগ) ডা. গণপতি বিশ্বাস শুভ, ফমেক হাসপাতালের সাবেক জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. মিনাক্ষী চাকমা ও ফমেক হাসপাতালের সাবেক প্যাথোলজিস্ট ডা. এ এইচ এম নুরুল ইসলাম।
আসামিদের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরস্পর যোগসাজশে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য অপ্রয়োজনীয় এবং অবৈধভাবে প্রাক্কলনব্যতীত বেশি দামে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের মাধ্যমে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করার অভিযোগে ৪০৯/৫১১/১০৯ ধারায় দণ্ডবিধির তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় এ মামলা করা হয়।
Discussion about this post