আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণা করেন।
এ ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রায়ে বলা হয়, আসামির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ছয়টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
এর মধ্যে তৃতীয় ও চতুর্থ অভিযোগে গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, আটকে রাখা এবং দেশত্যাগে বাধ্য করার মতো অপরাধের দায়ে হাসান আলীকে দেওয়া হয় মৃত্যুদণ্ড।
দ্বিতীয়, পঞ্চম ও ষষ্ঠ অভিযোগে অপহরণ, নির্যাতন, হত্যা ও লুটপাটে জড়িত থাকার দায়ে আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
আর অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় প্রথম অভিযোগ থেকে হাসান আলীকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
রায়ে বিচারক বলেন, “সার্বিক ঘটনাপ্রবাহ বিবেচনা করে আমরা একমত হয়েছি যে, মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলেই সৈয়দ হাসান আলীর অপরাধের সুবিচার সম্ভব।”
ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৬৮ ধারা অনুযায়ী আমৃত্যু ফাঁসিতে ঝুলিয়ে অথবা ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩৪ (ক) ধারা অনুযায়ী মৃত্যু পর্যন্ত গুলি চালিয়ে আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে বলা হয়েছে এ রায়ে।
বাংলাদেশে ফৌজদারী মামলায় সর্বোচ্চ দণ্ডের রায় ফায়ারিং স্কোয়াডে কার্যকরের কোনো নজির নেই। সব সময় ফাঁসিকাষ্ঠ ঝুলিয়েই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
এর আগে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড ফায়ারিং স্কোয়াডে কার্যকরের নির্দেশ দেওয়া হলেও সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর পাঁচজনকে ফাঁসিতেই ঝোলানো হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ফৌজদারী আইনে হওয়ায় দণ্ড কার্যকরের ক্ষেত্রে কারাবিধি অনুসরণের বিধান ছিল, যা আন্তর্জাতিক অপরাধ টাইব্যুনালের মামলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
“আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে বলা আছে, সরকারের নির্দেশমতো রায় কার্যকর হবে।”
Discussion about this post