বহুল কাঙ্ক্ষিত ফোর-জি সেবায় ইন্টারনেটের সুপার হাইওয়েতে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। লাইসেন্স পাওয়ার পরপরই মোবাইল ফোন অপারেটররা দেশে চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল ইন্টারনেট সেবা তথা ফোর-জি চালু করবে।বর্তমানে চালু থাকা থ্রি-জি সেবা থেকে ফোর-জি’তে গ্রাহকরা ভয়েস কল ও ডাটা বা ইন্টারনেট সেবায় বেশি সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), মোবাইল ফোন অপারেটর ও বিশেষজ্ঞরা।
বলা হচ্ছে, ফোর-জি সেবা চালু হলে ইন্টারনেটের গতি বাড়বে, ভয়েস কলের ক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ থাকবে। আর এতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের পাশাপাশি লাভবান হবেন ই-কমার্স খাত সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা ক্লাবে মোবাইল ফোন অপারেটরদের ফোর-জি লাইসেন্স হস্তান্তর করবে বিটিআরসি। লাইসেন্স পাওয়ার পরপরই মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো ঢাকাসহ বড় বড় শহরে সীমিত পরিসরে ফোর-জি সেবা চালু করবে।
ফোর-জি চালু হলে ইন্টারনেটের গতি বাড়বে এবং ভয়েস কলের ক্ষেত্রে সেবার মান উন্নত হবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসির সচিব ও মুখপাত্র মো. সরওয়ার আলম।
তিনি বলেন, ইন্টারনেটের জন্য গ্রাহক ফিক্সড লাইনের পরিবর্তে মোবাইল নিয়ে যেকোনো স্থানে উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।
তিনি বলেন, বিদেশ থেকে যে কলগুলো করা হয় ইন্টারনেট ও ভয়েস কলে, সেগুলোর মান ভালো হবে। গ্রাহকরা নিরবচ্ছিন্ন কথা বলতে পারবেন, কলড্রপও কমে যাবে।
‘ফোর-জি’র মাধ্যমে আইওটি বা ইন্টারনেট অব থিংস ধারণার প্রসার ঘটবে। বাইরে থেকে মোবাইল বা ডিভাইসের মাধ্যমে ঘরের দরজা লক, ফ্যান নিয়ন্ত্রণ, গ্যাসের চুলা ঠিকঠাক আছে কিনা- এসব কাজ হাতের নাগালে চলে আসবে’।
ফোর-জিতে ইন্টারনেটের গতি বাড়লে দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি বাণিজ্যিক কাজগুলো সহজ হবে জানিয়ে বিটিআরসি মুখপাত্র বলেন, টেলিমেডিসিন থেকে শুরু করে মোবাইল এডুকেশন বা ই-লার্নিংয়ের মতো কাজগুলো খুবই সহজ হয়ে যাবে।
ফোর-জি চালুর আগ মুহূর্তে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নিলামে অংশ নিয়ে ১৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে গ্রামীণফোন
আর স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের বেশিরভাগেরই ফোর-জি সুবিধাসম্পন্ন সেট ও সিম না থাকাও একটি চ্যালেঞ্জ। সমস্যায় রয়েছেন আইফোন ব্যবহারকারীরাও।
এসব বিষয়ে সুমন বলেন, দেশের সব মোবাইল সেট ফোর-জি এনাবেল নয়, একটি বড় সংখ্যক গ্রাহককে ফোর-জি এনাবেল সেট কিনতে হবে এবং নতুন করে সিম বদল করে নিতে হবে।
ফোর-জি লাইসেন্স পাওয়ার পর আইফোনের গ্রাহকদের সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা করছেন বিটিআরসি সচিব সরওয়ার আলম।
সবশেষ গত ডিসেম্বর মাসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে চারটি মোবাইল ফোন অপারেটরের মোট গ্রাহক সংখ্যা ১৪ কোটি ৫১ লাখ ১৪ হাজার। আর ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা ৮ কোটি ৪ লাখ ৮৩ হাজার।
মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক ৭ কোটি ৫০ লাখ ৫০ হাজারে এসেছে। আর ওয়াইম্যাক্স ৮৯ হাজার এবং আইপিএস ও পিএসটিএন মিলে ৫৩ লাখ ৪৪ হাজার।
বাংলানিউজ
Discussion about this post