নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তাছলিমা বেগম রেণু (৪০) নামের এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (২২ জুলাই) রাতে বাড্ডা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কামাল ও আবুল কালাম আজাদ।
এর আগে, গ্রেফতার চারজনের মধ্যে একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি তিনজনের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বাড্ডা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, গণপিটুনির ঘটনায় সোমবার রাতে কামাল ও আবুল কালাম আজাদ নামে আরও দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাদেরকে আদালতে পাঠানো হবে।
গত শনিবার (২০ জুলাই) সকালে স্কুলে সন্তানের ভর্তির খোঁজ নিতে গিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়ে মারা যান রেণু। ঐ দিন রাতেই বাড্ডা থানায় একটি মামলা করেন নিহতের বোনের ছেলে নাসির উদ্দিন। মামলায় অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
শনিবার (২০ জুলাই) সকালে উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে ওই নারীকে পিটিয়ে আহত করে বিক্ষুব্ধ জনতা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল সন্ধ্যায় ঢামেক হাসপাতালে নিহতের মরদেহ শনাক্ত করেন তার ভাগনে ও বোন রেহানা। তারা জানান, নিহতের নাম তাসলিমা বেগম রেনু। তার ১১ বছরের এক ছেলে ও চার বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে। আড়াই বছর আগে স্বামী তসলিম উদ্দিনের সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে ছেলেমেয়েকে নিয়ে মহাখালী ওয়ারলেস গেট এলাকায় একটি বাড়িতে থাকতেন তিনি।
নিহতের ভাগনে নাসির উদ্দিন বলেন, রেনু মানসিক রোগে ভুগছিলেন। চার বছর বয়সী মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য তিনি এক স্কুল থেকে আরেক স্কুলে ঘুরছিলেন। এ কারণেই হয়তো তিনি বাড্ডার ওই স্কুলটিতে যান।
এ ঘটনায় শনিবার বাড্ডা থানায় অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নাসির উদ্দিন। মামলায় বলা হয়েছে, অতর্কিতভাবে ওই নারীকে স্কুলের অভিভাবক, উৎসুক জনতাসহ অনেকে গণপিটুনি দেয়। এতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৪০০-৫০০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি জড়িত।




Discussion about this post