চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: ঘরে বাজার না থাকায় ২০০ টাকা চাওয়ায় বাবা-মাকে কুপিয়ে জখম করেছে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছি গ্রামের বকচরপাড়ার সোহেল নামে এক যুবক। বাবা-মাকে জখম করার পর সোহেল আত্মহত্যার চেষ্টা করলে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় সোহেলকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বর্তমানে সোহেলের বাবা আশরাফুল ইসলাম ও মা শাবানা খাতুনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেশীরা জানান, সোহেল মাদকাসক্ত। তিনি রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন। বুধবার রাতে সোহেল বাড়ি ফিরলে তার মা বাজার বাবদ ২০০ টাকা চায় ছেলের কাছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মায়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে সোহেল। একপর্যায়ে সোহেল কোদাল দিয়ে তার মায়ের মাথায় আঘাত করে এবং হাসুয়া দিয়ে বাবা-মা দুজনকেই জখম করে। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করেন। সোহেল ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘরের আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাকেও উদ্ধার করা হয়।
সোহেলের মা শাবানা খাতুন বলেন, আমার দুই ছেলে, এক মেয়ে। সোহেল সবার ছোট। মাদকাসক্ত হওয়ায় সোহেলের স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছেন। বাজারের জন্য ছেলের কাছে ২০০ টাকা চেয়েছিলাম। টাকা তো দিলোই না বরং আমাকে আর আমার স্বামীকে কুপিয়ে জখম করেছে। আমরা তার অত্যাচারে অতিষ্ট।
সোহেলের বাবা আশরাফুল ইসলাম বলেন, সোহেল দীর্ঘদিন যাবত নেশা করে। আমরা নিষেধ করলে আমাদের ওপর অত্যাচার করে। আমরা আর সহ্য করতে পারছি না। এর আগে পুলিশ ধরে নিয়ে গেলে মায়ার টানে ছেলেকে ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছিলাম। এবার আমরা আর ছাড়াবো না। সামান্য টাকা চাওয়ায় আমাদের কুপিয়ে জখম করেছে। এরকম ছেলে থাকার চেয়ে না থাকা ভালো।
চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এর আগে মাদক সেবনের জন্য সোহেল জেল খেটেছে। আত্মহত্যার চেষ্টা ও মাদক সেবনের জন্য প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
Discussion about this post