বিডি ল নিউজঃ
বহুল আলোচিত জিয়া অর্ফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারকের বিরুদ্ধে বিএনপি’র চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনাস্থার ওপর বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে শুনানি হতে পারে। গত জানুয়ারি মাসে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা হাইকোর্টে এই অনাস্থার আবেদন জানান।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অর্ফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার বিচার চলছে বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে স্থাপিত ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে। আর এই আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার।
দুর্নীতির এ দুই মামলায় সর্বশেষ গত ২৪ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া হাজিরা দিয়েছিলেন এই বিশেষ জজ আদালতে। ওই দিন তাঁর হাজিরাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় ব্যাপক হট্টগোল হয়েছিল। আর খালেদা জিয়া আদালতেই বিচারকের বিরুদ্ধে অনাস্থার কথা জানিয়েছিলেন।
সর্বশেষ হাজিরা পর, পরপর তিন কার্যদিবসে হাজির না হওয়ায় ওই বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেনে। আর বুধবার মামলার ধার্য তারিখে চতুর্থবারের মত আদালতে অনুপস্থিত থাকেন খালেদা জিয়া। আদালত বুধবার তাঁর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল রেখে মামলার নতুন তারিখ দিয়েছেন ৫ এপ্রিল। আর খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিলের আবেদন নথিভূক্ত করেছেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জানান, ‘গত ১৫ জানুয়ারি আমরা খালেদা জিয়ার পক্ষে হাইকোর্টে, ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিরুদ্ধে অনাস্থার আবেদন করেছি। আমরা আবেদনে জিয়া অর্ফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার আদালত পবির্তনের আবেদন জানাই। কারণ খালেদা জিয়া মনে করেন ওই আদালতে তিনি ন্যায় বিচার পাবেন না।’
তিনি জানান, ‘বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে আমাদের আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা। বিচারপতি রাজিউল হক ও বিচারপতি খোরশেদ জামান সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এই শুনানি হবে।’
তিনি দাবী করেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিলের আবেদন বিশেষ আদালত বাতিল করেননি। নথিভুক্ত করেছেন। এর মানে হল পরে বিবেচনার জন্য রাখা হয়েছে। আর আমরা হাইকোর্টেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিলের জন্য আলাদাভাবে আবেদন করেছি।’
তাঁর মতে, ‘পুরো বিষয়টি এখন উচ্চ আদালতে সুরাহা হবে।’
Discussion about this post