ডেস্ক রিপোর্ট
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিচার বিভাগকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করে দিতে চায়। যাতে জনগণ ন্যায্য বিচার পায় এবং বিচারকরা সঠিকভাবে বিচারকাজ করতে পারেন। বিচারকদের গাড়ি দেওয়ার মূল উদ্দেশ্যও তাই।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর নিবন্ধন অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে বিচারকদের মাঝে গাড়ির চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী ।এসময় মন্ত্রী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনাল, মানব পাচার ট্রাইব্যুনাল, সাইবার ট্রাইব্যুনাল ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকদের ব্যবহারের জন্য ২৭টি কার এবং দুটি মাইক্রোবাসের চাবি হস্তান্তর করেন।
১২ কোটি ১৩ লাখ ৭৪ হাজার ৫০০ টাকা ব্যয়ে কেনা ওই গড়িগুলো হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আনিসুল হক বলেন, আমরা দেখেছি বিচার বিভাগের বিচারকরা রিকশা করে বা বেবি ট্যাক্সি করে কিংবা মাইক্রোবাসে করে চলাফেরা করতেন। সেই অবস্থা পরিবর্তন করার জন্য সব জেলা জজদের গাড়ি দেওয়া হয়ে গেছে। এরপর অতিরিক্ত জেলা জজদের গাড়ি দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ সম্পূর্ণভাবে পৃথকীকরণ করা হয়। এই পৃথকীকরণের কারণে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেসি আলাদা হয়ে যায় এবং বিচার বিভাগে ভৌত অবকাঠামো সম্পূর্ণভাবে পুনর্বিন্যস্ত করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিশ্বাস করে বিচার বিভাগের জন্য সঠিকভাবে অবকাঠামো বিন্যাস্ত করা গেলে বিচারকদের স্বাধীনভাবে বিচার করার ভিত্তি তৈরি হবে। সে কারণেই বিচার বিভাগের অবকাঠামো তৈরির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
৬৪টি জেলায় ১০তলা বিশিষ্ট নতুন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসি ভবন তৈরির প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ৩০টি জেলায় ম্যাজিস্ট্রেসি ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে। বাকি কিছু আছে যেগুলো শিগগিরই উদ্বোধন করা হবে।এসময় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার, যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার শাহাসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post