ক্রীড়া ডেস্ক : তারুণ্য নির্ভার ফ্রান্সের কাছে হেরে রূপকথার গল্প রচনা করতে পারল না ক্রোয়েশিয়া। রবিবার মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে শিরোপার লড়াইয়ে ক্রোয়াটদের ২-৪ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুললো লস ব্লুজরা। কোচ ও খেলোয়াড় হিসেবে শিরোপা ছুঁয়ে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে রেকর্ড গড়লেন দিদিয়ের দেশম।
১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর ২০ বছরের আক্ষেপ কাটিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তোলে ফ্রান্স। এছাড়া ২০০৬ সালে রানার আপ হয়েছিল ফরাসিরা। অন্যদিকে, ক্রোয়েশিয়া এবার প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল।
অবশ্য হেরে গেলেও সাধুবাদ পাবে ক্রোয়েশিয়া। গোটা টুর্নামেন্টজুড়েই নান্দনিক ফুটবলের পসরা সাজিয়েছে ক্রোয়াটরা। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও উপহার দিয়েছে লড়াকু ফুটবল। তবে ফ্রান্সের গতির কাছে পেরে ওঠেনি তারা।খেলা শুরুর ১৮তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে গ্রিজম্যানকে ফাউল করলে রেফারি ফ্রি কিকের নির্দেশ দেন। গ্রিজম্যানের ফ্রি-কিক ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজের জালে বল ঢুকিয়ে দেন আগের ম্যাচের নায়ক মারিও মানজুকিচ। আর এর মাধ্যমে বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথম আত্মঘাতী গোলদাতা হিসেবে নাম লেখালেন তিনি।
ঠিক এর দশ মিনিট পর ২৮তম মিনিটে পেরেসিচের গোলে স্বস্তি ফেরে ক্রোয়েট শিবিরে। ডি-বক্সের বাহির থেকে পেরিসিচের শট লরিসকে নড়ার সুযোগ না দিয়ে জালে অবস্থান করে।
কিন্তু এ গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ক্রোয়েশিয়াকে এগিয়ে দেয়া গোলদাতা পেরেসিচ এবার ভিলেনের ভূমিকায়।
ক্রোয়েশিয়ার বক্সের ভেতর উড়ে আসা ক্রসে ফ্রান্সের মাতুইদি হেড করতে ব্যর্থ হন। বল লাগে তার পেছনেই থাকা পেরিসিচের হাতে। রেফারি যদিও প্রথমে পেনাল্টি দেননি। অনেক সময় নিয়ে ভিডিও রিপ্লে দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান আর্জেন্টাইন রেফারি। পেনাল্টি থেকে ঠাণ্ডা মাথায় গোল করেন গ্রিজমান। এটিই বিশ্বকাপের কোনও আসরের ফাইনালে প্রথম পেনাল্টি। স্পট কিক থেকে টুর্নামেন্টে এটি নিজের চতুর্থ গোল।
বিরতি থেকে ফিরে গোলের জন্য মরিয়া ক্রোয়েশিয়া আক্রমণে যায়। কিন্তু লরিসের কল্যাণে তারা গোল বঞ্চিত হয়। ম্যাচের ৫৯তম মিনিটে গোলটি করলেন পল পগবা। ডি-বক্সের প্রান্ত থেকে বাঁ-পায়ে জোরালো শট নেন পগবা। গোলরক্ষক সুবাসিচকে ফাঁকি দিয়ে বল চলে যায় জালে।
এর ছয় মিনিট পর অর্থাৎ ৬৫ মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে ডান পায়ের দুর্দান্ত শটে এই বিশ্বকাপে নিজের চতুর্থ গোলটি করেন এমবাপে। কিংবদন্তী ফুটবলার পেলের পর দ্বিতীয় তরুণ ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল করলেন এই পিএসজি তারকা।
৬৯ মিনিটে ফ্রান্সের ডিফেন্ডার ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লরিস ব্যাক পাস দেন। কিন্তু রক্ষণমুখে থাকা মানজুকিচকে কাটাতে গিয়ে তার পায়ে লেগে গোল খেয়ে বসে ফ্রান্স।
Discussion about this post