আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে জঙ্গি হামলায় সেনা, জঙ্গি ও বেসামরিক লোকসহ কমপক্ষে ১২২ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে সাত সেনা, ৮০ জঙ্গি ও ৩৫ বেসামরিক নাগরিক। নিহত ৩৫ বেসামরিক নাগরিকের মধ্যে ৩১ জনই নারী। এরআগে ২০১৫ সালের শুরু থেকে মালি ও নাইজারের সীমান্তবর্তী পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটছে। সেসময় থেকে দেশটির সাহেল অঞ্চলে জঙ্গি সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে, যার ফলে শত শত লোক জঙ্গিদের হাতে নিহত হন।
দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) মালির সীমান্ত এলাকায় আরবিন্দা শহরে একটি সামরিকঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার পর সেনাবাহিনী পাল্টা জবাব দিলে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
সেনাপ্রধানের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জঙ্গিদের একটি বিশাল দল একযোগে উত্তরাঞ্চলীয় শহর আরবিন্দার একটি সামরিকঘাঁটি এবং বেসামরিক জনপদে হামলা চালায়।
দেশটির রাষ্ট্রপতি রোচ মার্ক ক্রিশ্চান কাবোর বলেছেন, বুরকিনা ফাসোতে জঙ্গিদের প্রায় পাঁচ বছরের সহিংসতায় সবচেয়ে মারাত্মক হামলার ঘটনা এটি। এ ঘটনায় সমবেদনা জানাতে রাষ্ট্রপতি ২ দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন।
দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কোনো গোষ্ঠী তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে বুরকিনা ফাসোতে জঙ্গিদের সহিংসতার জন্য দায়ী করা হয়েছে আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেট উভয় গ্রুপের সঙ্গে জড়িত জঙ্গিদের।
জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, বুরকিনা ফাসোতে জঙ্গি হামলায় ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে এবং প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জঙ্গি হামলাগুলোর বেশিরভাগই দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে ঘটছে, যদিও রাজধানী ওগাডুগুতেও তিনবার আঘাত করা হয়েছে। সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ
Discussion about this post