বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের তরুণ আইনজীবী ব্যারিস্টার আসিফ ইমতিয়াজ খান জিসাদের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় হাইকোর্টে তার স্ত্রী সাবরিনা শাহীদসহ চার আসামির জামিন মেলেনি।
আগাম জামিন সংক্রান্ত আবেদন শুনানি নিয়ে বুধবার (১৪ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচাপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. ওজিউল্লাহ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুল ইসলাম।
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ব্যারিস্টার আসিফ জিসাদের মৃত্যুর ঘটনায় তার স্ত্রী সাবরিনা শাহীদ নিশিতাসহ চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন-আসিফ ইমতিয়াজের শ্বশুর এ এস এম শহিদুল্লাহ মজুমদার, শাশুড়ি রাশেদা শহীদ ও শ্যালক সায়মান শহীদ নিশাত। আসিফের বাবা শহিদুল ইসলাম খান বাদী হয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী কলাবাগান থানাকে অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
গত ১১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোরে কাঁঠালবাগান এলাকার ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের একটি ভবনের নিচ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর ব্যারিস্টার আসিফ ইমতিয়াজ খান জিসাদের মৃত্যু হয়।
আসিফের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে নয় তলা থেকে ফেলে দেয়া হয়েছে। আসিফ সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক সাংসদ শহিদুল ইসলাম খানের ছেলে। কাঁঠালবাগান এলাকায় একটি ভবনের নবম তলায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন তিনি। ওই ভবনের নিচ থেকে ভোরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। আসিফকে প্রথমে গ্রিন লাইফ হাসপাতাল, পরে স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি মারা যান।
Discussion about this post