নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, রাজধানীর মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ আমাদের ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এখন এ বিষয়ে চূড়ান্ত কিছু বলা যাবে না। তবে ঘটনার মোটিভ দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য এই হামলা করা হয়েছে। চক্রান্তকারীরা পুলিশের ওপর হামলা করেছে। এর মাধ্যমে চক্রান্তকারীরা বিশেষ ফায়দা নেয়ার জন্য বসে আছে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ মে) রাজধানীর নিউমার্কেটে ঈদের কেনাকাটা উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করতে এসে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আছাদুজ্জামান মিয়া।
ডিএমপি কমিশনার জানান, আমরা জানতে পেরেছি এটি সাধারণ ককটেল নয়। এটি সাধারণ ককটেলের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। হামলার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত কাঙ্ক্ষিত গতিতে চলছে। এ বিষয়ে এখনই কিছু বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। তবে একটি কথা বলতে পারি এ ঘটনায় তদন্ত কাজ কাঙ্ক্ষিত গতিতে এগোচ্ছে। এ সময় ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য এ হামলা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, কী উদ্দেশ্যে, কারা করেছে, কেন করেছে এবং কাদের টার্গেট করে এ হামলা করা হয়েছে, তা তদন্তের মাধ্যমে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করি দ্রুত এ ঘটনার তদন্ত শেষ হবে। তিনি বলেন, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে আমরা এই ভীতিকর পরিবেশ দেখেছি। তবে জনগণকে বলব, আপনারা সতর্ক থাকুন কিন্তু ভয় পাবেন না। আমরা আপনাদের নিরাপত্তায় সচেষ্ট আছি।
বিস্ফোরিত ককটেল প্রসঙ্গে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ আমাদের ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এখন এ বিষয়ে চূড়ান্ত কিছু বলা যাবে না। তবে আমরা জানতে পেরেছি এটি সাধারণ ককটেল নয়। এটি সাধারণ ককটেলের চেয়ে অনেক শক্তিশালী।
এর আগে ডিএমপি কমিশনার নিউমার্কেটের বেশ কয়েকটি দোকান পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। ক্রেতা-বিক্রেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি আপনারা যেন নিরাপদে ঈদের কেনেকাটা ও ঈদ উৎসব পালন করতে পারেন। ঈদ উপলক্ষে মার্কেট, শপিং মল, বাস টার্মিনাল, লঞ্চ ঘাট ও রেলস্টেশনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। যাতে করে গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটা করে আপনারা নিরাপদে বাসায় ফিরতে পারেন।
Discussion about this post