ডেস্ক রিপোর্ট: ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের প্রত্যাশা করছে। আর যুক্তরাষ্ট্র এবারের নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ ‘ইতিবাচক অগ্রগতি’ হিসেবে চিহ্নিত করলেও ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ভোটে যেসব অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, তার ‘স্বচ্ছ’ তদন্ত চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষকে নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ রেখেছে।
তবে ওই বিবৃতিতে নির্বাচনের আগে হয়রানি, ভীতি প্রদর্শন, সহিংসতার অভিযোগ ওঠার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। তাদের মতে, এর ফলে বিরোধী জোটের অনেক প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের প্রচার বিঘ্ন ঘটেছে।
নির্বাচনের দিন অনিয়মের কারণে অনেকে ভোট দিতে পারেনি বলে উঠা অভিযোগের খবরেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা হারানোর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলেও মনে করছে দেশটি।
ওই বিবৃতিতে নির্বাচনের পর সহিংসতা এড়ানোর পরামর্শ দিয়ে আরো বলা হয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ থাকবে, যেন তারা সব পক্ষকে নিয়ে গঠনমূলকভাবে অনিয়মের অভিযোগগুলো নিয়ে কাজ করে।’
এদিকে মঙ্গলবার ইইউ’র সদর দপ্তর ব্রাসেলস থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, ভোটারদের উপস্থিতি এবং বিরোধীদের অংশগ্রহণ বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রতি জনগণের স্পৃহার প্রতিফলন ঘটেছে। তবে ‘তাতে ছায়া ফেলেছে ভোটের দিনের সহিংসতা এবং এই প্রক্রিয়ায় সবার সমান সুযোগ নিশ্চিতের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বাধাও বিদ্যমান ছিল।’
ইইউ আরো বলেছে, এখন ভোট পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষের উচিৎ হবে যেসব অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, ‘পূর্ণ স্বচ্ছতার’সঙ্গে তা পরীক্ষা করে দেখা।
নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট পেয়েছে ২৮৮টি আসন। আর বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে মাত্র ৭টি আসন।
ইতোমধ্যে কারচুপির অভিযোগে ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। তবে, আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন কমিশন এ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উল্লেখ করে ঐক্যফ্রন্টের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
Discussion about this post