এ্যাডভোকেট মোঃ শহিদুল ইসলাম (সাগর)
✓দিনটি ছিল ১৯৪৭ সালের ২৮ শে সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আমাদের প্রাণপ্রিয় জননেত্রী শেখ হাসিনা।
জন্ম থেকেই আদর্শ আর সংগ্রামের পথচলা বাবা সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা হিসাবের খ্যাত মা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ও পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় আজকের মানসকন্যা, জননেত্রী, বাঙালি জাতির প্রাণপ্রিয় মা, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।
✓অনেক সংগ্রাম আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার একজন সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হলের ছাত্রলীগ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৭৩ সালে।
✓এরপর আসলো ১৯৭৫ সাল ১৫ ই আগস্ট, ভোরবেলা সেনা সদস্যরা, বিশ্বাসঘাতক, পাকিস্তানি, আলবদর রাজাকার বাহিনীর বর্বরতার শিকার এই পরিবারের সবাইকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার এক মহা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন।
যেখানে আমরা হারিয়েছি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, সেখানে আমরা হারিয়েছি জননেত্রী শেখ হাসিনার গর্ভধারিনী মাকে, সেখানে আমরা হারিয়েছি তার প্রাণপ্রিয় কলিজার টুকরা তিন ভাই এবং দুই ভাইয়ের স্ত্রীকে, যেখানে আমরা আরও হারিয়েছি ওই পরিবারে থাকা অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনদেরকে যাদের ওপর চালানো হয়েছিল এক বর্বরতা হত্যাযজ্ঞ। কিন্তু ভাগ্য পৃষ্ঠে বেঁচে গিয়েছিলেন আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা সেদিন পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করেছিলেন বলে।
তাদের উদ্দেশ্য ছিল এই পরিবারটিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া কিন্তু হয়তো আজকের এই কঠিন সময়ের জন্যই হয়তো মহান আল্লাহ এই মহান ব্যক্তিদ্বয়কে বেঁচে রেখেছিলেন।
✓কিন্তু এখানেই শেষ হয়নি ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তাদের দীর্ঘ ৬ বছর আসতে দেওয়া হয়নি, প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি তৎকালীন সরকার কর্তৃক এই প্রাণপ্রিয় জন্মভূমি এই সোনার বাংলাদেশে, নির্বাসনে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন আমাদের প্রাণ প্রিয় জননেত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু তিনি ধৈর্য হারা হয়নি, বীচলিত হননি, তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন একদিন এই বাংলার বুকে প্রবেশ করবেন, আবার এই দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াবেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করবেন এবং সেটাই হয়েছে পরবর্তীতে।
✓কিন্তু আজ যেখানে আমাদের জীবন রক্ষার জন্য, জনগণের স্বার্থে, সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছেন। এই সাতটা দিন বাসায় বন্দী হয়ে থাকতে আমাদের এত দ্বিধা, এত দ্বন্দ্ব, এত সমালোচনা। এতোসব কিছুর আয়োজন শুধু আমরা যেন একটা সুস্থ, সুন্দর, পরিষ্কার নিঃশ্বাস নিতে পারি, সুস্থ পরিবেশে বাঁচতে পারি, এটাই তার স্বপ্ন। তিনি কিন্তু দীর্ঘ ৬ (ছয়) বছর ভিন্ন দেশে গৃহ বন্দি ছিলেন।
সেইদিনের কালো অন্ধকার কি কেটে যাইনি? অন্ধকার থেকে আলো দেখতে পাননি? তাই আসুন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জীবন থেকে শিক্ষা লাভ করি এবং অন্তত লকডাউন এর সময় নিজের পরিবার আত্মীয়-স্বজন এর কথা চিন্তা করে বাসায় অবস্থান করি। তিনি বলেছেন যতদিন এই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন ততদিন জনগণের পাশে থাকবেন।
✓আজ সারা বিশ্বে এই মহামারিতে যেখানে আজ আতঙ্কিত,সেখানে কঠোর হাতে আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন ব্যক্তি হয়ে কিভাবে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে এই দেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন, প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর নিচ্ছেন, সবার নজর রাখছেন, কেউ ক্ষুধা পেলে খাদ্য পৌঁছে দিচ্ছেন, কেউ অসুস্থ হলে স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছেন, কারো মাথা গোঁজার ঠাঁই না থাকলে ঘরবাড়ি তৈরি করে দিচ্ছেন, কেউ তার সাথে সরাসরি কথা বলতে চাইলে সেই সেবাটা সবার জন্য উন্মুক্ত রেখেছেন, এসব কিছু করা শুধুমাত্র আমরা যেন একটু ভালো থাকতে পারি, সুস্থভাবে বাঁচতে পারি কিন্তু আমরা কি কখনো তার খোঁজখবর নিচ্ছি?
তিনি কেমন আছেন? ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করছেন কিনা? যিনি দিনরাত ২৪ ঘণ্টা নির্ঘুম থেকে সবার সাথে যোগাযোগ করছেন, এটাই হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টা।
✓এই অল্প কিছু দিনের লকডাউনে আমাদের পরিবারের সদস্যদের মুখে দুবেলা খাবার তুলে দেওয়ার জন্য আজ আমরা দিশেহারা ঠিক তেমনি প্রায় দুই বছর ধরে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তার পরিবার যার সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি, সেই ১৮ কোটি জনগণের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য তাকে কি পরিমান কষ্ট করতে হচ্ছে সেটা আমরা কখনোই ভাবি না, চিন্তা করি না।
তাই শুধু এটা বলতে চাই এত ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করার পরও আমাদের মত এই স্বল্প উন্নত দেশে এই মহামারিতে টিকে আছি এটা ঐশ্বরিক এক আশীর্বাদ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার মত নেত্রী আমাদের পাশে আছেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।
✓অন্যদিকে, আজকের এই বর্তমান ডিজিটাল যুগে পৃথিবী যেখানে হাতের মুঠোয়, বাংলাদেশ তেমনি জনগণের মুঠোয়। আর এর ফলেই আমাদের সকল দুঃখ, বেদনা, চাওয়া- পাওয়া, আশা-প্রত্যাশা খুব সহজেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনতে পারি। এই নজরে আনার সাথে সাথে ম্যাজিকের মত কাজ হয়ে যায়। তার নজরে আনতে যতটা না সময় লাগে, বাস্তবায়ন করতে ততটা সময় লাগে না।
তার স্বপ্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া আর সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রধান কারিগর হচ্ছে জনগন, এটা রক্ষণাবেক্ষণ করার দায়িত্ব আমাদেরই। আর এই ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফলের কারণেই আজ আমরা তার সাথে কথা বলতে পারি, আমাদের অভিযোগের কথা বলতে পারি সরাসরি।
✓যেখানে পৃথিবী আজ এই মহামারিতে অসহায় সেখানে আমাদের মত বাংলাদেশ আরো বেশি অসহায়। এই অসহায় এর মাঝে থেকেও কঠোর হাতে, বলিষ্ঠ হাতে সঠিক নেতৃত্ব দেওয়াটাই বড় কথা। তাই আসুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার জন্য একসাথে সোনার বাংলা গড়ার জন্য পাশাপাশি কাঁধ মিলিয়ে একসাথে কাজ করি, সমালোচনা না করি, নিজেরা সচেতন হই, অন্যকে সচেতন করি।
Discussion about this post