বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনা সদরে চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য আদালতে তলব এবং হাসপাতালে নিয়ে তার চিকিৎসা দেয়ার আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ সোমবার (২২ জুলাই) বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী এ আবেদন নামঞ্জুর করেন।
এর আগে ১৬৪ ধারায় দেয়া মিন্নির জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য তাকে আদালতে তলবের আজ বেলা ১১টার দিকে আবেদন করেন তার আইনজীবী ও জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল বারী আসলাম। এসময় আইনজীবী মিন্নি অসুস্থ বলেও দাবি করে তাকে উপযুক্ত চিকিৎসা দেয়ার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর আবেদন করেন। দুটি আবেদনই নামঞ্জুর করেন আদালত।
১৬ জুলাই সকালে মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তার বক্তব্য রেকর্ড করতে বরগুনা পুলিশ লাইনসে নিয়ে যায় পুলিশ। দীর্ঘ ১০ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে মিন্নিকে রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে মিন্নিকে গত শুক্রবার আদালতে হাজির করে পুলিশ। মিন্নি বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর খাস কামরায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা অনুযায়ী রিফাত শরীফ হত্যায় জড়িত থাকার করা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এরপরে মিন্নিকে কারাগারে পাঠান একই বিচারক।
প্রসঙ্গত বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় ২৬ জুন সকাল ১০টার দিকে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। বিকাল ৪টায় বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ হত্যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। হত্যাকাণ্ডের পরের দিন রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বরগুনা থানায় ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ ছাড়া সন্দেহভাজন অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়। এ মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। মামলার এজাহারভুক্ত ছয় আসামিসহ এ পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, চারজন রিমান্ডে আছে।




Discussion about this post