বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও নিহত রিফতারে স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন শুনানির আবেদন করা হয়েছে। এর ফলে এ মামলাটি আজ বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কার্যতালিকায় স্থান পেয়েছে।
আজ রবিবার সকালে বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল বারী আসলাম এ জামিন শুনানির আবেদন করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জিআরও মো. হান্নান বলেন, মিন্নির জামিন আবেদনটি গ্রহণ করে শুনানির জন্য আদালতের কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আজ বেলা ১১টার দিকে এ মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে মিন্নির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, মিন্নির জামিন শুনানির জন্য আমরা আবেদন করেছি। আমার মিন্নির জামিনের জন্য আদালতে যুক্তি তুলে ধরব।
এদিকে মিন্নির জামিন শুনানির কথা শুনে আদালতে উপস্থিত হয়েছেন নিহত রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ ও মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। এছাড়া ঢাকা থেকে অর্ধশতাধিক আইনজীবী মিন্নিকে আইনি সহায়তা দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এদের ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদও রয়েছেন।
এদিকে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে মিন্নিকে গত শুক্রবার আদালতে হাজির করে পুলিশ। মিন্নি বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর খাস কামরায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা অনুযায়ী রিফাত শরীফ হত্যায় জড়িত থাকার করা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এরপরে মিন্নিকে কারাগারে পাঠান একই বিচারক। তিনি এখন বরগুনা জেলা কারাগারে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় ২৬ জুন সকাল ১০টার দিকে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। বিকাল ৪টায় বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ হত্যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। হত্যাকাণ্ডের পরের দিন রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বরগুনা থানায় ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ ছাড়া সন্দেহভাজন অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়। এ মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। মামলার এজাহারভুক্ত ছয় আসামিসহ এ পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, চারজন রিমান্ডে আছে।




Discussion about this post