খাদিজাতুল কোবরা: দেশে ৬৫ শতাংশ কিশোরী বাল্য বিবাহের শিকার। গর্ভাবস্থায় অথবা এরপরে মা ও শিশু মৃত্যুর ঝুঁকির অন্যতম কারণও এই বাল্য বিবাহ। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ থাকলেও এর যথার্থ প্রয়োগ না থাকায় এখনও বাড়ছে এ সংখ্যা। ব্রাক ও ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকার এক আলোচনায় এ তথ্য জানানো হয়।
রেখা আক্তার। বিয়ে হয়েছিল ১৪ বছর বয়সে। বিয়ের পরের বছরই জন্ম দেন প্রথম সন্তান। এরপর একে একে আরও তিনটি। কম বয়সে বিয়ে এবং পরপর চারটি সন্তানের জন্মদিয়ে প্রায় সব সময়ই রোগাক্রান্ত থাকতে হচ্ছে তাকে।
রেখা আক্তারের মতো কিশোরী বয়সে মা হয়েছেন এমন নারীর সংখ্যা ২৫ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ওপরের দিকে। শহরের চেয়ে গ্রামেই কিশোরী মায়ের সংখ্যা বেশি। যার মধ্যে ৩০ শতাংশ মায়ের বয়স ১৫ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে বলেন, প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর ডা. মোরসেদা চৌধুরী।
শিক্ষা, পরিবারকল্পনা, সামাজিক সচেতনতার অভাবে বাল্যবিবাহ বন্ধ হচ্ছে না বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক গনেশ চন্দ্র সরকার ও আইসিডিডিআরবির গবেষক ডা. কামরুন নাহার।
সরকারী বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগ থাকা সত্বেও গত এক দশকে বিয়ের বয়স এক বছরের বেশি কমানো যায়নি।
Discussion about this post