ডেস্ক রিপোর্ট
যশোরে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার ২০ বছর বয়সী তরুণীকে নিজ জিম্মায় থাকার অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ ওই তরুণীর আবেদন মঞ্জুর করে এই আদেশ দেন।
আদালতে ওই তরুণীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ। আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী।
আইনজীবী জানান, ওই তরুণীর বাবা বিদেশে থাকেন। মা তাকে বিয়ে দিতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন। কিন্তু বিয়েতে রাজি হননি তরুণী। এর মধ্যে তাকে একটি ঘরে প্রায় ২৬ দিন বন্দি অবস্থায় রাখা হয়।
এক পর্যায়ে তিনি গত জানুয়ারি মাসে পালিয়ে ঢাকায় এসে একটি বুটিক হাউজে চাকরি নেন। এরপর বিয়ে না করলে তার মা তাকে হত্যা করবেন এমন অভিযোগ এনে বনানী থানায় ২৫ জানুয়ারি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
আইনজীবী তাসমিয়াহ বলেন, পরে ওই মেয়ের মা গত ২৩ মে যশোর আদালতে মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে একটি মামলার আবেদন করেন। যেখানে বুটিক হাউজের মালিকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
আদালতের আদেশে পিবিআই মেয়েটিকে যশোর আদালতে হাজির করে। গত ২৪ জুন জিম্মা নিতে মেয়ের মায়ের আবেদন এবং নিজ জিম্মায় থাকতে মেয়েটির করা আবেদন খারিজ করে দেন যশোরের আদালত। পাশাপাশি মেয়েটিকে সেফ হোমে পাঠানোর আদেশ দেন। সেই থেকে বেকুটিয়া শেল্টার হোমে আছেন ওই তরুণী।
এদিকে নিম্ন আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে নিজ জিম্মায় থাকতে হাইকোর্টে আবেদন করেন ওই তরুণী। শুনানির সময় ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট মেয়েটির বক্তব্য শোনেন। এরপর তার আবেদন মঞ্জুর করে মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) আদেশ দেন।
Discussion about this post