নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকার প্রধান ও তার দলের নেতা এবং মন্ত্রীদের বক্তব্য প্রমাণ করে, দেশে তারেক রহমানের জীবন নিরাপদ নয়। এ কারণে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন বরেণ্য রাজনৈতিকের মতো তার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন এবং তিনি সেটা পেয়েছেন
আজ মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) সকালে দলের রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল আরো বলেন, তারেক রহমান ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পাসপোর্ট জমা দেন।’ তিনি সুস্থ হলে এবং দেশে আসতে চাইলে তিনি আবার পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে আবেদন করতে পারবেন। সুতরাং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যে তথ্য দিয়েছেন, তা মোটেও সঠিক নয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী (শাহরিয়ার আলম) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পাসপোর্ট ও নাগরিকত্বের বিষয়ে যে চিঠি দিয়েছেন, এটি অত্যন্ত রহস্যজনক। কারণ এ চিঠিতে ১৩টি মারাত্মক ভুল আছে, যা ব্রিটিশরা কোনোভাবেই করতে পারেন না।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তারেক রহমান তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে যে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন, দেশের মানুষ তার জবাবের অপেক্ষা করছে। আশা করি, তিনি নোটিশের জবাব দেবেন।’
তিনি আরো বলেন, তারেক রহমান জন্মসূত্রে বাংলাদেশি নাগরিক। সংবিধানেও বলা আছে, বড় কোনো সমস্যা না হলে জন্মসূত্রের নাগরিকত্ব সহজে বাতিল হয় না।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ।
Discussion about this post