শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) ১৬ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় শাবি ছাত্রলীগ (স্থগিত কমিটি) সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আজ রোববার (২১ মে) দুপুরে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক এ পরোয়ানা জারি করেন।
পরোয়ানাভুক্ত অপর দুইজন হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান রুদ্র ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ রিয়াদ।
ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বাদীপক্ষের অভিযোগ আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক আরও জানান, ট্রাইব্যুনালের ৩০ ধারায় পার্থ এবং অপর দুই জনের বিরুদ্ধে ১০ ধারায় পরোয়ানা জারি করা হয়। ভিকটিমের বয়স ১৬ হওয়ায় মামলাটি শিশু অদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. মসরুর চৌধুরী শওকত জানান, আদলত অভিযোগ আমলে নিয়ে ভিকটিমের বয়স কম হওয়ায় মামলার পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শিশু আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ৮ এপ্রিল শাবিতে ঘুরতে এসে ওই তিন আসামি কর্তৃক যৌন হয়রানির শিকার হয় এক স্কুলছাত্রী। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে শাবি প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সৈয়দ নবীউল আলম দিপু ও সাধারণ সম্পাদক সরদার আব্বাসকে বেধরক পেটায় পার্থের অনুসারীরা। পরবর্তীতে ১২ এপ্রিল ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ওই তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। পরবর্তীতে ২ মে আসামিরা ছাত্রীকে হয়রানির সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির প্রধান সহকারী জজ তাসলিমা শারমিন ।
Discussion about this post