রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি: রাঙ্গামাটির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ৭ জন নিহতের ঘঘটনার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। চরম আতঙ্কে রয়েছেন পাহাড়ি ও বাঙালিরা। এরই মাঝে কোনো সন্ত্রাসীকে ছাড় দেয়া হবে না জানিয়ে চিরুনি অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। এছাড়া, হামলার ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিভাগীয় প্রশাসন ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তারা শঙ্কাযুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। হতাহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজিম সরোয়ার। তিনি বলেন, ‘এলাকার পরিস্থিতি আপাতত থমথমে রয়েছে। দেখে শান্ত মনে হলেও কিন্তু ভেতরে শান্ত নয় বলে মনে হয়েছে। ‘
সন্ত্রাসী হামলায় প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ ৭ জন নিহতের ঘটনার পর দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় চিরুনি অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী। সন্ত্রাসীদের হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদুল হক জানান, সন্ত্রাসী নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, সম্ভাব্য যেসব জায়গায় তারা অবস্থান করতে পারে, সেইসব জায়গা আমরা খুঁজে দেখেছি। আমরা চিরুনি অভিযান করছি। কাউকে সামান্যতম ছাড় দেয়া হবে না।
এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যায় ভোট কেন্দ্র থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে ফেরার পথে দুর্গম নয়মাইল পাহাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ ৭ জন নিহত এবং ১১ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৬ জন আহত হন।




Discussion about this post