নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর কদমতলী জনতবাগ এলাকায় সিনথিয়া (৩০) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর স্বামী নুর মোহাম্মদ ভূঁইয়া তুহিনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কদমতলী থানায় নেয়া হয়।
শনিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে কদমতলীর জনতবাগ ১৭৪২ নম্বর বাড়িতে ৪র্থ তলার শয়নকক্ষ থেকে নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত গৃহবধূর মা-বোনদের অভিযোগ, তাকে পরিকল্পিতভাবে স্বামী নুর মোহাম্মদ ভূঁইয়া তুহিন হত্যা করেছে। সিনথিয়ার মা রুবিয়া খান বাদী হয়ে কদমতলী থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
নিহত সিনথিয়া স্বামীকে নিয়ে কদমতলীর জনতবাগ ১৭৪২ নম্বর বাড়িতে ৪র্থ তলায় ভাড়া থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং গ্রামে।
জানা যায়, ২০১০ সালে তার ফুফাতো ভাই নুর মোহাম্মদ ভূঁইয়া তুহিনের সঙ্গে সিনথিয়ার বিয়ে হয়। তুহিনের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার হলদিয়া মরিচিয়া। তুহিন রাজধানীর গুলিস্তান সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে ইলেকট্রনিক্স ব্যবসা করেন।
নিহত সিনথিয়ার বোন কনি ও মিনহা জানান, বিয়ের পর থেকেই তুহিন সিনথিয়াকে প্রায়ই মারধর করত। একাধিকবার সিনথিয়া বাপের বাড়ি চলে আসে। দেনদরবার করে আবার সিনথিয়াকে নিয়ে যেত তুহিন।
শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে তুহিন ফোন করে তার ভায়রা সালাম হাওলাদারকে মোবাইল ফোনে জানায় সিনথিয়া নেই। এ কথা বলে ফোন রেখে দেয়। রাতেই ঘটনাস্থলে সিনথিয়ার বোন, মা ও স্বজনরা যান।
এ ব্যাপারে ওয়ারী বিভাগের ডিসি শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, এটা একটা হত্যাকাণ্ড। আমরা তদন্ত করছি। শয়নকক্ষ থেকে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করেছি।
মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেহেতু এটি একটি হত্যাকাণ্ড; তাই এ হত্যাকাণ্ড কীভাবে সংঘটিত হল? কে করল? তা জানতে কাজ করছি।
Discussion about this post