নিজস্ব প্রতিবেদক: র্যাব-৭ এর সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমানকে (অবঃ) ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগ করেছে তার পরিবার। তবে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছুই জানাতে পারেননি পল্লবী থানা।
বুধবার রাতে রাজধানীর পল্লবীতে নিজ বাসার সামনে থেকে তাকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নেয়া হয় বলে জানা গেছে। তাকে তুলে নেয়ার বিষয়টি ডিবি পুলিশও অস্বীকার করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, হাসিনুর রহমান তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। সেটি যাচাইবাছাই করা হচ্ছে। আমি যতটুকু শুনেছি তার সঙ্গে পূর্বে জঙ্গিদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ছিলো। এসব বিষয়ও তদন্ত করা হচ্ছে।
হাসিনুর রহমানের স্ত্রী শামীমা রহমান জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাসার সামনে থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চার/পাঁচজন একটি মাইক্রোবাস থেকে নেমে তাকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় হাসিনুর রহমান চিৎকার করলে তাদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে তারা হাসিনুরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যায়। পরে পল্লবী থানায় গেলে এ সংক্রান্ত কোনো জিডি নেয়নি পুলিশ।
সূত্র জানায়, হাসিনুর রহমানের শ্যালিকা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। ওই সময় তার শ্যালিকা হিজবুত তাহরীরের নারী ইউনিটের একজন শীর্ষস্থানীয় নেত্রী ছিলেন। ২০০৯ সালের অক্টোবরে হিজবুত তাহরীর নিষিদ্ধ ঘোষণার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র শিক্ষক ও হিজবুহ তাহরীরের উপদেষ্টা গোলাম মহিউদ্দিন গ্রেফতার হন। তার জবানবন্দী থেকেই হাসিনুর রহমানের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া যায়। তখন হাসিনুর রহমান র্যাব-৭ এর অধিনায়ক ছিলেন। র্যাবের হাতে হিজবুত তাহরীরের বেশ কয়েকজন সদস্য আটক হওয়ার পর র্যাবও নিশ্চিত হয় হাসিনুর রহমানের সাথে হিজবুত তাহরীরের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। ২০১১ সালের প্রথম দিকে তাকে র্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখায় ডেকে পাঠানো হয়। সেসময় গোয়েন্দা শাখার প্রধান ছিলেন লে. ক. জিয়াউল আহসান। তিনি সাংবাদিকদের কাছে হাসিনুর রহমানের হিজবুহ তাহরীর সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করে। এরপরেই তাকে র্যাব-৭ থেকে অব্যাহতি দিয়ে মাতৃবাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়।




Discussion about this post