নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের মাধ্যমে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির অপেক্ষায় থাকা প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবীর পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় হাইকোর্টে আইনি লড়াই চালাবেন বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নিজেই গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।
এরআগে, হাইকোর্টের এক বিচারপতির ছেলেকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন ব্যারিস্টার সুমন। ওই রিটের বিষয়ে তিনি বলেন, আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষায় বারবার অনুত্তীর্ণ হওয়ার পরও হাইকোর্টের এক বিচারপতির ছেলেকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেছি।
রিটের যুক্তি বিষয়ে সুমন বলেন, বিচারপতির ছেলেকে সরাসরি আইনজীবী করা আইনসম্মত হয়নি, তা আমরা হাইকোর্টে শুনানিতে তুলে ধরবো। তাছাড়া বাংলাদেশ বার কাউন্সিল যে নিয়মিত পরীক্ষা নিচ্ছে না, সেসব বিষয়ও আদালতে তুলে ধরা হবে। এই ৫০ হাজার শিক্ষার্থীর দাবি (প্রতিবছর নিয়মিত পরীক্ষা নেওয়া) যৌক্তিক। তাদের পক্ষে আমি হাইকোর্টে কথা বলবো, আদালতে লড়বো।
তিনি বলেন, যেখানে ৫০ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবী পরীক্ষার জন্য কাতরাচ্ছে, বছরের পর বছর পরীক্ষা দিতে পারছেন না, আন্দোলন করছেন, পরীক্ষার আশায় বসে আছেন- সেখানে একজন বিচারপতির ছেলেকে প্রমোশন (সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী) দেবেন, এটাতো আমি আইনের বড় ব্যর্থতা বলে মনে করি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় কয়েকবার অংশ নিয়েও কৃতকার্য হতে পারেননি হাইকোর্টের বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকীর ছেলে মো. জুম্মান সিদ্দিকী। অথচ জুম্মান সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে গত ৩১ অক্টোবর গেজেট প্রকাশ করা হয়।
তাই ওই গেজেট এবং ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অর্ডারের ২১(১)(খ) ও ৩০(৩) ধারা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়েছে। ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও ইশরাত হাসান বিচারপতির ছেলে জুম্মান সিদ্দিকীসহ বার কাউন্সিলের সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করে এ রিট দায়ের করেন।
Discussion about this post