তথাকথিত ডিস্টেন্স লার্নিং এর মতন আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা করোনা কালের আগে থেকেই প্রচলিত ছিল বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কিন্তু বিষয়টি প্রাইমারি বা স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য নিতান্তই ঠাট্টার বিষয়। যদিও মার্চের কড়া লকডাউনে নিরুপায় পরিস্থিতিতে অনলাইন ভিত্তিক পাঠদান বেশ সুনামের দাবিদার, কিন্তু প্রায় বছর ঘুরতে যাওয়া একই পদ্ধতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার মতন মহান বিষয়ের অর্জনের দীর্ঘমেয়াদি উদ্দেশ্য। বার্ষিক পরিক্ষার নামে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে প্রশ্নপত্র এবং উত্তর প্রদানের জন্য খাতা। যা সার্টিফিকেট প্রেমী বাঙালিদের সুযোগ তৈরি করেছে বাড়িতে শুয়ে-বসে নকল পাশের অগাধ সুযোগ যদিও ব্যতিক্রম রয়েছে অনেকেই।
এদিকে বিশ্বে সর্চচ্চ আক্রান্তের দেশ আমেরিকা সহ ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ইংল্যান্ড সবখানেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথাটি মাথায় রেখে। যদিও ক্ষেত্র বিশেষে কিছু কিছু দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরে সংক্রামণের হার বেড়ে যাওয়ায় পুনরায় বন্ধ ঘোষণা করে আবারও উপযুক্ত নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে খোলা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো। এমনকি পাশ্ববর্তী দেশ ভারত বিশ্বে সংক্রামণের দ্বিতীয় সর্বচ্চ ধাপে পৌছে যাওয়ার পরেও ১৫ অক্টোবর থেকে সবধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়।
স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় বিশেষ করে বেসরকারি স্কুলগুলো সহ সদউদ্যোক্তাদের দ্বারা পরিচালিত স্কুলের শিক্ষকদের বেকারত্বের অনটন নিয়ে উঠে গেছে নাভিশ্বাস এখন তাদের মধ্যে চলছে আন্দোলনের প্রস্তুতি। কেননা অনেকে পেশা পরিবর্তন করে জীবিকা নির্বাহের পথ বাতলে নিতে পারলেও, অধিকাংশ রাষ্ট্রের কারিগর সকল শিক্ষকদের এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে আছে। কারণ যারাও বা প্রশাসনের নজরের আড়ালে কোচিং বা ব্যাচের মাধ্যমে পরিচালনা করতে গেছে শিক্ষাকার্যক্রম তাদের গুণতে হয়েছে জরিমানার টাকা এবং সইতে হয়েছে সামাজিক লাঞ্ছনা।
অতঃপর আশু শীতে করোনার সেকেন্ড ওয়েব নিয়ে একটা চিন্তা থাকলেও, প্রকৃতপক্ষে মানা হচ্ছে না কোন সাবধানতা এখন করোনার প্রতিকি সাবধানী চিহ্ন সরূপ শুধু রয়ে গেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অচল অবস্থা যার ক্ষতি সুদূরপ্রসারী। যে জাতির ভবিষ্যতদের নিয়ে এত সকল সাবধানী বন্ধ এবং কঠোরতা কিন্তু দমিয়ে রাখতে পারেনি সেই শিশু কিশোর কিংবা প্রাপ্তবয়ষ্কদের। তাদের অবাধ বিচরণ চোখে পরার মতন, করোনার ক্রমহ্রাষমান প্রাদুর্ভাব এবং মৃত্যুর হার নিয়ে নিশ্চিত হয়ে আসা পরিবার গুলোও তাই বাঁধা দিচ্ছে না বাড়ির বাহিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে, নেই মাক্স ব্যবহার সহ বার বার হাত ধোয়ার বালাই সবই যেন স্বাভাবিক এবং আগের মতন জীবন চলছে নিয়তিকে ভরসা করে।
কিন্তু আইনের রয়েছে সামাজিক শৃঙ্খলা বজায়ের দিকনির্দেশনা। সকল পরিস্থিতি যার আওতাভুক্ত যেমন বর্তমার করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ১৮৬০ সালের আইন দন্ডবিধি চতুর্থ অধ্যায়ে রয়েছে জনস্বাস্থ্য জনিত অপরাধের সমাধান।
Discussion about this post