আসলে বাস্তবতা বলতে গেলে গ্রাজুয়েট হয়েও শিক্ষানবিশদের মতো এত অনিশ্চয়তার জীবন অন্য কোন পেশায় আছে কিনা আমার জানা নাই!! “করনা” মহামারিতে কমবেশি সকল পেশার লোকেরা বিভিন্নভাবে সাপোর্ট পেয়েছে শুধু সকল দিক থেকে বঞ্চিত হয়েছে এ অভাগা শিক্ষানবিশরা। বর্তমানে প্রায় অর্ধ-লক্ষাধিক শিক্ষানবিশ গত কয়েক বছর ধরে ধুঁকে ধুঁকে আন্তপরিচয়হীন দিনাতিপাত করতেছে। আমার মত কয়েক বছর আগে ল’ শেষ করা হাজারো শিক্ষানবিশদের বয়সের কথা বলতে গেলে সঠিক সময়ে বার কাউন্সিল পরীক্ষা পেলে বর্তমানে আমরা এখন সুপ্রিম কোর্টের প্রাকটিসের পরীক্ষা দেয়ার কথা, অথচ হৃদয়ের গহীনের অবেক্ত চাপাকান্না নিজে ব্যতিত পায় না কেউ শুনতে। আসলে আমার শিক্ষানবিশরা এতো আন্দোলন সংগ্রাম করেও একটা রোগের কারণ খুঁজে বের করতে ব্যর্থ হয়েছি তা হোল বার কাউন্সিল কি কারনে যথাসময়ে পরীক্ষা নিতে এত গড়িমসি করে??? আমাদের কথা হলো প্রতিবছর পরীক্ষার মাধ্যমে প্রয়োজনে অল্প সংখ্যক এডভোকেট কে সনদ দিক। যার যোগ্যতা আছে সে টিকে থাকবে অন্যরা অন্য কোন পেশায় চলে যাবে। পরীক্ষার জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করে জীবনের সোনালী সময়গুলো তাহলে নষ্ট হবে না। দীর্ঘদিন পরে পরীক্ষা নিয়ে আবার ১টা রিটেন পরীক্ষার রেজাল্ট দিতেও বছর পার হয়ে যায়!! রিটেন পরীক্ষার খাতা দেখার দায়িত্ব দেন সম্মানিত বিচারকদেরকে!! অথচ উনারা নিজেদের কোর্ট ও জাজমেন্ট লিখা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে ব্যাস্ত থাকেন, বার কাউন্সিল চাইলে পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে সহ দায়িত্ব দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে খাতা দেখা শেষ করতে পারেন। বর্তমানেও প্রায় ১২৫০০ লিখিত পরীক্ষার্থীর জীবন অনিশ্চয়তা নামক অন্ধকার কূপে নিপতিত। করনার অজুহাতে বার কাউঞ্চিলের কুম্ভকর্ণের ঘুম কবে ভাঙবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। আমাদের শিক্ষানবিশদেরও গ্রুপ বা সংগঠনের অভাব নেই অভাব রয়েছে শুধু – ঐক্যের। গতবার সুপ্রিম কোর্টে এত সুন্দর অনশনে অর্ধ-লক্ষ শিক্ষানবিশদের মধ্যে অর্ধশতও উপস্থিত না হয়ে এখনের মত মার্ক জুকারবাগের এই বইয়ের মাঝে ছোট মাছের মত লাফালাফি করেছি। আমরা কখনো পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিলের অযৌক্তিক দাবী তুলবো না, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তা বিশ্ব – বিশেষজ্ঞরাও বলতে পারবে না। এবং ২০২০ সালের MCQ পরীক্ষাও মোটামুটি জটিল হওয়ায় প্রায় ১৩-১৫% যারা পাশ করেছে তারা ভালোভাবে ফিল্টারিং হয়েই উত্তীর্ণ হয়েছে। এটা অনেক আইনের শিক্ষকরাও স্বীকার করেছেন।
সুতরাং এদেরকে তারিখ ঘোষণা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভাইভার মাধ্যমে যাচাই করে সনদ প্রদান করা একান্ত সময়ের দাবী। আশা করি সকল শিক্ষানবিশ ও আইনজ্ঞরা এক হয়ে কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে টিভি,নিউজ পেপার ও সোশ্যাল মিডিয়াতে জোরাল দাবী উত্তাপন করতে পারলে
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আদেশ ও বার কাউন্সিলের সদয় মর্জি অবশ্যই হবে ইনশাল্লাহ।
Discussion about this post