নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দরজা কারো জন্য বন্ধ থাকে না। তিনি সংলাপের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। শিগগিরই সংলাপে বসতে দিনক্ষণ, স্থান ও অন্যান্য বিষয়গুলো ঠিক করা হবে।
আজ সোমবার বিকেল সাড়ে চারটায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান।
ওবায়দুল কাদের জানান, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সংলাপে বসতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আমার (আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক) বরাবর চিঠি পাঠিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তাদের এই চিঠির প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপে বসতে তার সম্মতির কথা আমাকে জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমরা কারো চাপে নতি শিকার করিনি, শেখ হাসিনা জানিয়েছেন তাঁর দরজা কারো জন্য বন্ধ থাকে না। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সম্ভাব্য এই সংলাপের নেতৃত্ব দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে রবিবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে অর্থবহ সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি দেন ডা. কামাল হোসেন। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতেই আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর নিকট পাঠানো চিঠিতে ডা. কামাল হোসেন উল্লেখ করেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এক দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা।’
“যেসব মহান আদর্শ ও মূল্যবোধ আমাদের জনগণকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে উজ্জীবিত ও আত্মত্যাগের উদ্বুদ্ধ করেছিল- তার অন্যতম হচ্ছে ‘গণতন্ত্র।’ গণতন্ত্রের প্রথম শর্তই হচ্ছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান। জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ জনগণের পক্ষে জনগণের ক্ষমতা প্রয়োগ করবে এবং জনগণকে শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে- রাষ্ট্রের আইন প্রণয়ন ও শাসনকার্য পরিচালনা করবে- এটাই আমাদের সাংবিধানিক অঙ্গীকার।“
চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে আরও বলা হয়, “আপনি নিশ্চয়ই একমত হবেন যে, বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচনকে একটি মহোৎসব মনে করে। ‘ব্যক্তির এক ভোট’ এর বিধান জনগণের জন্য বঙ্গবন্ধুই নিশ্চিত করেছেন- যা রক্ষা করা আমাদের সকলের সাংবিধানিক দায়িত্ব।”
‘ইতিবাচক রাজনীতি একটা জাতিকে কীভাবে ঐক্যবদ্ধ করে জনগণের ন্যায়সংগত অধিকারসমূহ আদায়ের মূলশক্তিতে পরিণত করে-তা বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়েছেন। নেতিবাচক রুগ্ন-রাজনীতি কীভাবে আমাদের জাতিকে বিভক্ত ও মহাসঙ্কটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে, তাও আমাদের অজানা নয়। এ সঙ্কট থেকে উত্তরণ ঘটানো আজ আমাদের জাতীয় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট ৭ দফা দাবি ও ১১ দফার লক্ষ্য ঘোষণা করেছে। একটি শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সকলের অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে -জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে একটি অর্থবহ সংলাপের তাগিদ অনুভব করছে এবং সে লক্ষ্যে কার্যকর উদ্যোগ প্রত্যাশা করছি।’
Discussion about this post