রাজনৈতিক সঙ্কট ও সংঘাত এড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হওয়া থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।তার ইতিবাচক মনোভাবের প্রধম পদক্ষেপ হিসেবে তিনি শনিবার দুপুরে ফোন করেন বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। তবে তাকে পাওয়া যায়নি। আশা করা হচ্ছে, সন্ধ্যায় কথা হবে দুই নেত্রীর মধ্যে। আকাংখিত সংলাপের শুরু হবে সেখান থেকেই।
আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধরণী পর্যায়ের একজন নেতা রাইজিংবিডিকে এমন ধারণা দিয়ে বলেন,বিষয়টি নিয়ে শেখ হাসিনা দলের সিনিয়র কয়েকজন নেতার সঙ্গে ইতিমধ্যে আলোচনাও করেছেন।আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে আরো জানান, দেশ ও জাতির স্বার্থে এধরণের ছাড় দিতে প্রস্তুত বঙ্গবন্ধু কন্যা।
সূত্র মতে,সংবিধানের আলোকে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে সর্বদলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সেই সরকারের প্রধান থাকার প্রশ্নে আওয়ামী লীগ গতকাল পর্যন্তও ছিল অনড়। আওয়ামী লীগ এবং ১৪ দলীয় জোটের অনঢ় অবস্থান,একই সঙ্গে জামায়াত- হেফাজতকে সাথে নিয়ে বিএনপিসহ আঠারো দলীয় জোট তাদের একদফা দাবি আদায়ে রাজপথে সহিংস হয়ে ওঠার প্রেক্ষাপটে দেশে রাজনৈতিক পরিবেশ সংঘাতময় হয়ে উঠার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শুক্রবারের সমাবেশ থেকে সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়ে তিনদিনের হরতাল ঘোষণা করায় সেই আশংকা আরো তীব্র হয়ে উঠেছে। ফলে আসন্ন সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। নগরীতে ব্যাপক নিরাপত্তা সত্তেও একের পর এক বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়িতে আগুন, মন্ত্রী, এমপি ও বিচারপতিদের বাড়ীর সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ইতিমধ্যে জনমনে আতংক দেখা দিয়েছে।
পরিবর্তিত পরিস্থিতি বিবেচনায় একটি সমাঝোতার পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষে প্রধানমন্ত্রী আজ শনিবার সন্ধ্যায় বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আবারো ফোন করবেন।
এ বিষয়ে আলোচনার সময়ে শেখ হাসিনা একটি শর্ত জুড়ে দেবেন বলে জানা গেছে। শর্ত হলো- নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হবেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ অথবা স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলি থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
Discussion about this post