আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্যে চলতি মাসেই গঠিত হচ্ছে সর্বদলীয় নির্বাচনকালীন সরকার। আর এ লক্ষ্যে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রীরা পদত্যাগপত্র জমা দেবেন এবং নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহেই অন্তর্বর্তীকালিন সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে। আর নতুন ধারার এই সংক্ষিপ্ত সরকারে নতুন করে স্থান পেতে পারেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে দুই প্রবীন নেতা আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ। আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ও দলীয় নির্ভরযোগ্য সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দলের সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদের মতো প্রবীণ ও প্রজ্ঞাবান নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে আনা জরুরি বলে মনে করেন দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে দলের প্রধানের উপর।
সম্প্রতি আমির হোসেন আমু দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হয়েছেন বেশ জোরসোরেই। আবার ১৪ দলসহ দলের কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে তোফায়েল আহমেদকেও।
আওয়ামী লীগের একটি সুত্র জানায়, সর্বদলীয় সরকারের মন্ত্রিসভার প্রধান থাকছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এছাড়া মন্ত্রিসভার এই বাড়তি চমক হিসেবে জায়গা পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ।
সূত্র জানায়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই সর্বদলীয় সরকারে আমির হোসনে আমু ও তোফায়েল আহমেদ ছাড়াও ড. আবুল মাল আবদুল মুহিত, বেগম মতিয়া চৌধুরী, ওবায়দুল কাদের, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, ডা. দীপু মনি ও ড. হাছান মাহমুদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সাধারণ সম্পাদক হাসানুল হক ইনু, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও জিএম কাদের, সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়া জায়গা পেতে পারেন। আর বিরোধী দল বিএনপি অংশ নিলে তাদের ৪-৫ সংসদ সদস্য সর্বদলীয় সরকারে অর্ন্তভুক্ত হতে পারেন।
এ সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরুর অংশ হিসেবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বোঝাপড়াও শেষ পর্যায়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিরাই এ সরকারের অংশ হবেন এ সিদ্ধান্তে অনড় থাকবে সরকার।
Discussion about this post