সর্বনিম্ন ৮ হাজার ৭৫০ এবং সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা প্রারম্ভিক মজুরি নির্ধারণ করে ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে প্রস্তাবিত জাতীয় মজুরি স্কেল ঘোষণার দাবি জানিয়েছে সেক্টর করপোরেশন শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন সমন্বয় পরিষদ।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে জীবন ধারণের ব্যয় নির্বাহ, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ যোগানোসহ সকল বিষয়ে রাষ্ট্রায়াত্ব শিল্প কারখানায় কর্মরত শ্রমিকেরা আজ দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে। তাই প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা সম্বলিত একটি মজুরি স্কেলের সুপারিশ ঘোষণা ও বাস্তবায়নসহ ৬ দফা দাবিতে পুরো মে মাস জুড়ে গণসংযোগ, গেট মিটিং, অঞ্চলভিত্তিক সংবাদ সম্মেলন, জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।’
এসময় তিনি কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রস্তাবিত জাতীয় মজুরি স্কেল ঘোষণা ও বাস্তবায়ন। সংস্থার সদর দপ্তরের ন্যায় সংস্থাধীন কারখানায় কর্মরত শ্রমিক ও কর্মচারীদের বেলায়ও পেনশন বা সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী পেনশন পদ্ধতিতে গ্রাচ্যুইটি নির্ধারণ। সংস্থাধীন কারখানাগুলোতে কর্মরত নারী শ্রমিক কর্মচারীদের প্রসূতি ছুটি ৪ মাস থেকে ৬ মাসে উন্নীত করা। সংস্থাধীন কারখানাগুলোতে কর্মরত মুক্তিযোদ্ধা শ্রমিকদের অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি। শ্রমিকদের জন্য নববর্ষ ভাতা নির্ধারণ।
আগামী ৩১ মে’র মধ্যে এ দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান সংগঠনের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক এম কামাল উদ্দিন, এটিএম ফজলুল হক, আতিয়ার রহমান প্রমুখ।
Discussion about this post