নিজস্ব প্রতিবেদক: চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আটক এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে রাজধানীর গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ শনিবার বিকেল ৩টার দিকে তাদের গুলশান থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
গুলশান থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাদেক গণমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর নিকেতনে ৫ নম্বর সড়কের ১৪৪ নম্বর ভবনে শামীমের কার্যালয় ঘিরে অভিযান চালায় র্যাব। কার্যালয়ের ভেতর থেকে বিদেশি মুদ্রা, মদ, একটি আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক, নগদ অর্থ, ২০০ কোটি টাকার এফডিআর চেক উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি ১ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ৯ হাজার মার্কিন ডলার এবং ৭৫২ সিঙ্গাপুরি ডলার সেখানে পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার বেলা ১২টা থেকে তার কার্যালয়টি ঘিরে রাখেন র্যাব সদস্যরা, এর পর ভেতরে অভিযান চালান। অভিযানের পর অবৈধ অস্ত্রসহ শামীমকে আটক করে র্যাব। এর আগে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে শামীমের ৬ দেহরক্ষীকে নিজেদের হেফাজতে নেয় র্যাব।
জি কে বিল্ডার্সের কর্মচারী দিদারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর নিকেতনে শামীমের ব্যবসায়িক কার্যালয় জি কে বিল্ডার্সে র্যাবের একটি দল এসে তার ৬ বডিগার্ডকে তুলে নিয়ে যায়।
র্যাব-১ সূত্রে জানা গেছে, শামীমের দেহরক্ষীদের থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এসব অস্ত্র লাইসেন্সকৃত কিনা তা যাচাই করা হবে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং) এএসপি মিজানুর রহমান বলেন, এ মুহূর্তে গণমাধ্যমকে কিছুই জানাতে পারছি না। পরে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, যুবলীগ নেতা এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত। বিএনপি-জামায়াত শাসনামলেও গণপূর্তে এই শামীমই ছিলেন ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি, সেই জি কে শামীম এখন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায়বিষয়ক সম্পাদক।




Discussion about this post