দুই দশক আগে ভারতের রাজস্থানে দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার দায়ে বলিউড সুপারস্টার সালমানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় সাইফ আলী খান, টাবু ও সোনালী বেন্দ্রে বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার যোদপুরের চিফ জুডিশিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট দেব কুমার খাতরি এ রায় দেন। তিন বছরের কম সাজা হওয়ায় একই আদালতে আপিল করতে পারবেন সালমান।
রায় ঘোষণার সময় সালমানকে অভ্যাসগত অপরাধী উল্লেখ করে খাতরি বলেন, ২০ বছর ধরে মামলাটির কার্যক্রম চলছে। এতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
এ ছাড়া অন্য আসামিরা বেনিফিট অব ডাউটের সুবিধা নিয়ে মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন।
১৯৯৮ সালের ১ অক্টোবরের এই একটি রাত এখনও সালমানকে তাড়িয়ে বেড়ায়। সেই রাতে কয়েকজন সহঅভিনেতাকে সঙ্গে নিয়ে সালমান হরিণ শিকারে বের হন।
সালমানসহ অন্য অভিনেতারা সেখানে হাম সাথ সাথ হ্যায় সিনেমার শুটিংয়ের জন্য গিয়েছিলেন।
কঙ্কানি গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রাতে গুলির শব্দে তারা ঘর থেকে বের হয়ে একটি জিপসি গাড়ি ধাওয়া করেন। যেটির চালকের আসনে ছিলেন সালমান। কিন্তু তাদের ধরা যায়নি। প্রবলগতিতে গাড়ি ছুটিয়ে সালমান ও তার সঙ্গীরা পালিয়ে যান।
রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের কাছে সালমানের আইনজীবীরা বলেন, সরকারি কৌঁসুলিরা অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। তারা মামলা সাজাতে ভুয়া সাক্ষী দাঁড় করিয়েছেন। বন্দুকের গুলিতেই যে কৃষ্ণসার দুটির মৃত্যু হয়েছিল, তাও প্রমাণ করতে পারেনি।
গত ২৮ মার্চ নিম্নআদালতে কৃষ্ণসার মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়।
বলিউডে সবচেয়ে সফল অভিনেতাদের একজন সালমানের ওপর বর্তমানে এক হাজার রুপির ওপর লগ্নি রয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় আদালতের বাইরে ব্যাপকসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ছাড়া শরীর প্রদর্শনের জন্য বিখ্যাত এই অভিনেতার শত শত ভক্ত জড়ো হয়েছিলেন সেখানে।
সরকারি কৌঁসুলি মাচিপাল বিশনোয় বলেন, সালমান খান দোষী সাব্যস্ত হলেও অন্য অভিনেতারা খালাস পেয়েছেন।
২০০২ সালে গাড়িচাপা দিয়ে এক গৃহহীন মানুষকে হত্যার অভিযোগ থেকে ২০১৫ সালে খালাস পান বলিউড ব্যাডবয় সালমান।
Discussion about this post