[dropcap][/dropcap]
মিহির মিশকাতঃ চিটাগং লইয়ার্স এন্ড ল স্টুডেন্টস সোসাইটি (কেন্দ্র্রীয় কমিটি) এর উদ্যোগে “ওয়ার্কশপ অন ল ক্যারিয়ার” বিষয়ক কর্মশালা চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমী’র মিলনায়তনে রবিবার (১৩ মে ‘১৮) সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এতে চট্টগ্রামের নয়টা বিশ্ববিদ্যালয় সহ চট্টগ্রাম আইন কলেজ ও ল টেম্পল মিলিয়ে প্রায় ২৫০ জনের অধিক আইনের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
চিটাগং লইয়ার্স এন্ড ল স্টুডেন্টস সোসাইটি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট রিজওয়ান মাহমুদ মির্জা’র সভাপতিত্বে ও সংগঠনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জয়ন্ত তালুকদার’র সঞ্চালনায় শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক জনাব পল্টন দাশ।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন তরুণ সমাজ সেবক ও সংঘঠক জনাব এডভোকেট হাসান আলী রুমান।
এরপরেই শুরু হয় মূল পর্ব। বিশিষ্ট লেখক, পাবলিক স্পিকার, কর্পোরেট ট্রেইনার এবং বাংলাদেশ ক্যারিয়ার ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা জনাব সত্যজিৎ চক্রবর্তী আইনের ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা যারা আইনের ছাত্র-ছাত্রী, আপনারা অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে। অন্যান্য বিষয়ে যারা পড়ালেখা করেন তাদের জন্য শুধু বিসিএস আছে। আর আপনাদের জন্য দুটো পথ খোলা আছে। বিসিএস এবং বিজেএস। এছাড়া আরোও অনেক সুবিধাতো আছেই।
জনাব চক্রবর্তী’র বক্তব্য শেষে প্যানেল স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব সাঈদ আহসান খালিদ। জনাব খালিদ বলেন- ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, পৃথিবীতে যত ‘গ্রেট’ ব্যক্তিত্ব আছেন সবই আইনের শিক্ষার্থী যেমন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহাত্মা গান্ধী, নেলসন মেন্ডেলা সহ আরোও অনেকেই। দৃষ্টান্ত আছে, আইনের শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে বেশি ত্যাগী ও মহৎ।
অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের ডীন এবং চেয়ারম্যান প্রফেসর এ বি এম আবু নোমান। তিনি বলেন, আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার তিন স্তরের যে পরীক্ষা নেওয়া হয় সেই পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল কিংবা সংক্ষিপ্ত করার জন্য বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এর কাছে আহবান জানানোর পাশাপাশি আইনের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে আরোও বলেন, আইনের ছাত্র-ছাত্রীদের পথ সবচেয়ে বেশি বিস্তৃত। টেকনিক্যাল দিকগুলো ছাড়া যেকোন সেক্টরে ক্যারিয়ার গঠন করতে পারে আইন পড়ে। আইনের ছাত্রদের কখনো বেকার থাকতে হয় না।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন দাশ। তিনি জনাব আবু নোমান এর সাথে সহমত পোষণ করার পাশাপাশি শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের বিভিন্ন অধিকার নিয়ে কথা বলেন। বিশেষ উল্লেখ্য যে, অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের নয়টা বিশ্ববিদ্যালয়, ল কলেজ ও ল টেম্পলের বিভিন্ন দায়িত্বশীল শিক্ষার্থীগণ স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ও শাখা কমিটি সমূহের নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে এড. অমল চৌধুরী, এড. মিথুন ঘোষ, এড. মুজাহিদুল ইসলাম, আবুল হাসনাত চৌধুরী ইহাদ, রাশেদ পারভেজ, নোবেল দে টিটুল, সাইফুল ইসলাম, আখতার হোসাইন, মেজবাহ উদ্দিন মাসুম, মোশারফ সোহেল, ফাহিমা শারমিন, হাসনাত হায়দার ইহাদ, নোমান বিন খুরশিদ, মুহায়মিন চৌধুরী, বাপ্পু কুমার দে, সুপন দেবনাথ, সাজিয়া আহমেদ সুচনা, সাইফুল আলম সানজিদ প্রমুখ।
Discussion about this post