নিজস্ব প্রতিবেদক: অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় গণশুনানির আয়োজন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি। এ বিষয়ে ১২ আগস্ট একটি গণবিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়।
আজ রবিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১০টায় টেকনাফের শামলাপুর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জের কার্যালয়ে এই শুনানি শুরু হবে।
নির্ধারিত সময় প্রত্যক্ষদর্শীদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয় কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাজাহান আলী স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা নিহতের ঘটনায় ২ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।
এ বিষয়ে মানবাধিকার কর্মী মো. নুর খান বলেন, সত্য উদ্ঘাটনের জন্য যদি গণশুনানির আয়োজন করা হয়ে থাকে এবং এতে স্বাধীনভাবে মানুষের মত প্রকাশের পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়, তাহলে এটা অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। এর ফলে প্রকৃত তথ্য জানার পাশাপাশি পুলিশের ভেতর ত্রুটি-বিচ্যুতিও বেরিয়ে আসবে। দীর্ঘদিন পর হলেও এ ধরনের উদ্যোগ মানুষের মনে আস্থা ফিরে আনবে।
এদিকে সিনহা হত্যা মামলায় চার পুলিশসহ সাতজনের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার বেলা ১১টায় কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ এ আদেশ দেন। এই সাতজন হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) লিটন, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সিনহা হত্যা মামলায় পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়ার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দীন ও মোহাম্মদ আইয়াস।
এর আগে চার পুলিশ সদস্যকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। সেই জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল বুধবার দ্বিতীয় দফায় তাদের ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে র্যাব। আদালত এই চার পুলিশ সদস্যকে সাত দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায় চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা রাশেদ খান। এ ঘটনায় মেজর সিনহার বোনের করা মামলায় বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি এবং দুই নম্বর আসামি করা হয় টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে। তারা ছাড়া আরও সাত জনকে এজহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে।
আলোচিত এই মামলায় অন্য আসামিরা হলেন, এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এএসআই টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা।
Discussion about this post