বিদেশ থেকে ফেরার পর বিমানবন্দরে গ্রেফতার হওয়ার একদিনের মাথায় মুক্তির আদেশ পেয়েছেন মালদ্বীপের বিরোধী দলের দুই সংসদ সদস্য। ওই দুই সাংসদ সুপ্রিম কোর্টের আদেশে পুর্নবহাল হওয়া ১২ জনের অন্যতম। প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন সুপ্রিম কোর্টকে লেখা চিঠিতে তাদের দেওয়া বেশ কয়েকটি আদেশ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন। গত ০১ ফেব্রুয়ারি ও পরে দেওয়া এসব আদেশ বাস্তবায়নের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের বাইরে সমর্থকদের নিয়ে বিক্ষোভ দেখোচ্ছেন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা। পুলিশ সেখানে পিপার স্প্রে ব্যবহার করেছে বলে খবর দিয়েছে সেদেশের সংবাদমাধ্যম দ্য সান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট ভারতের পদক্ষেপ চেয়েছে বলে যে খবর বেরিয়েছে তা নাকচ করে দিয়েছে বিচার প্রশাসকের দফতর।বিদেশ থেকে ফেরার পর বিমানবন্দরে গ্রেফতার হওয়ার একদিনের মাথায় মুক্তির আদেশ পেয়েছেন মালদ্বীপের বিরোধী দলের দুই সংসদ সদস্য। ওই দুই সাংসদ সুপ্রিম কোর্টের আদেশে পুর্নবহাল হওয়া ১২ জনের অন্যতম। প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন সুপ্রিম কোর্টকে লেখা চিঠিতে তাদের দেওয়া বেশ কয়েকটি আদেশ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন। গত ০১ ফেব্রুয়ারি ও পরে দেওয়া এসব আদেশ বাস্তবায়নের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের বাইরে সমর্থকদের নিয়ে বিক্ষোভ দেখোচ্ছেন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা। পুলিশ সেখানে পিপার স্প্রে ব্যবহার করেছে বলে খবর দিয়েছে সেদেশের সংবাদমাধ্যম দ্য সান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট ভারতের পদক্ষেপ চেয়েছে বলে যে খবর বেরিয়েছে তা নাকচ করে দিয়েছে বিচার প্রশাসকের দফতর।
গত ০১ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট বিরোধী ৯ নেতার বিরুদ্ধে আনা সরকারের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তাদেরকে মুক্তির নির্দেশ দেয়। এছাড়া গত বছর সুপ্রিম কোর্টের আদেশে বরখাস্ত হওয়া বিরোধীদের দলের ১২ সংসদ সদস্যকেও পুনর্বহাল করার আদেশ দেওয়া হয়। এসব আদেশ বাস্তবায়ন হলে প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন অভিশংসিত হতে পারেন বলে গুঞ্জনের মুখে বাতিল করা হয় সোমবারের ঘোষিত পার্লামেন্ট অধিবেশন। বিরোধী দলগুলোর সর্বাত্মক জোট রবিবার পার্লামেন্ট ভবনে বৈঠকের পর রাষ্ট্রের শীর্ষ দুই আইন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। এরপরই সেনাবাহিনী প্রেসিডেন্টের পক্ষ নিয়ে পার্লামেন্ট ভবন ঘিরে ফেলেন। এর আগে বিদেশ থেকে দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরেই গ্রেফতার হন পুর্নবহাল হওয়ার আদেশ পাওয়া সাউথ মাচাংগলির সাংসদ আবদুল্লাহ সিনান ও ধনেনগাতির সাংসদ ইলহাম আহমেদ।
সোমবার ওই দুই সাংসদকে নিম্ন আদালতে হাজির করা রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ। শুনানি শেষে তাদের মুক্তির আদেশ দেয় আদালত। দ্য সান এই খবর নিশ্চিত করেছে।
এদিকে প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন সুপ্রিম কোর্টকে তিনটি চিঠি দিয়েছেন। এসব চিঠিতে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে। সোমবার লেখা তৃতীয় চিঠিতে তিনি দেশের প্রধানবিচারপতির গ্রেফতারি পরোয়ানা বাতিল সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের আদেশ প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
০১ ফেব্রুয়ারির আদেশের পর প্রধান বিচারপতি হাসান সায়িদের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ তোলেন প্রেসিডেন্ট সমর্থকরা। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিম্ন আদালতের তরফে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ওই আদেশ বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
প্রেসিডেন্টের লেখা চিঠিতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিম্ন আদালতের জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করে দেওয়ার আদেশ সংবিধানে দেওয়া প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এছাড়া আবদুল্লাহ ইয়ামিন সুপ্রিম কোর্ট ও এটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। গতকাল রবিবার এটর্নি জেনারেল পুলিশ ও সেনাপ্রধানকে সঙ্গে নিয়ে টেলিভিশন ভাষণে বলেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের ষড়যন্ত্র করছে। তবে এই আদেশ বাস্তবায়ন করবেন না তারা।
সুপ্রিম কোর্টকে লেখা চিঠিতে আবদুল্লাহ ইয়ামিন বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আদেশ রাষ্ট্র পরিচালনায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করে জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি সৃষ্টি করছে।
বৃহস্পতিবারের আদেশ বাস্তবায়নের দাবিতে সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট ভবনের সামনে সমর্থকদের নিয়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা। এর কিছুক্ষণ পরই তাদের ওপর পিপার স্প্রে প্রয়োগ করে পুলিশ। তা সত্ত্বেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা। আদালতে উপস্থিত রয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান সায়িদ।
বিচার প্রশাসনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তারা ভারতের কাছে কোনও সাহায্যের আবেদন জানাননি। এর আগে সোমবার ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গ্রেফতারের আশঙ্কায় প্রধান বিচারপতির তরফে ভারতের পদক্ষেপ চাওয়া হয়েছে।
Discussion about this post