রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে আটক রুমা আক্তারকে মামলার সাক্ষী করা হচ্ছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, গুলশানের হামলার সঙ্গে রুমা আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনার কাছাকাছি থাকা এবং একজন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে তাকে মামলার সাক্ষী করেছে পুলিশ।
গতকাল রোববার (০৭ আগস্ট) রুমা আক্তার আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন। তাতে তিনি বলেছেন, গুলশান এলাকায় যৌনকর্মীর কাজ করেন। হলি আর্টিজানে হামলার রাতে মিঠু নামে একজনের সঙ্গে দেখা করতে গুলশান-২-এর ৭৯ নম্বরের ওই সড়কে যান। গত কয়েক মাস ধরেই সেখানে যেতেন তিনি।
এদিকে কল্যাণপুরে পুলিশের অভিযানে নিহত ৯ জঙ্গির মধ্যে ৮ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ। একজন এখনো অজ্ঞাত।
পুলিশ বলছে, অজ্ঞাত ওই জঙ্গি কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের ৫৩ নম্বর বাড়ির (জাহাজবাড়ি হিসেবে পরিচিত) ৫ম তলার জঙ্গি আস্তানাটি ভাড়া নেয়। ভাড়া নেওয়ার সময় বাড়ির মালিকের কাছে এককপি ছবি দেয় ওই জঙ্গি। নিহত অজ্ঞাত জঙ্গির সঙ্গে ওই ছবি মিলিয়ে তাকে শনাক্ত করা হয়। এর পরই পুলিশ নিশ্চিত হয় অজ্ঞাত ওই জঙ্গিই বাসা ভাড়া নেয়।
উল্লেখ্য, গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় গত ১৯ জুলাই এক নারীসহ সন্দেহভাজন চার জঙ্গির ভিডিওচিত্র প্রকাশ করে তাদের সন্ধান চায় র্যাব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে র্যাবের অফিসিয়াল পেজে সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ আপলোড করা হয়। র্যাবের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা আসার দুদিন পর রুমা আক্তারকে আটক করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটি)। গত ১ জুলাই হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা করে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা।
Discussion about this post