নিজস্ব প্রতিবেদক: ঝিনাইদহের একটি কলেজের ১৯ শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্তি করতে আদেশ দিয়েছিলো হাইকোর্ট। আর সেই আদেশ প্রতিপালন না করার ঘটনায় আজ আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। পরে আদালত তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় তিনি হাইকোর্টে হাজির হন। এরপর বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতের আদেশ প্রতিপালনে দাফতরিক আদেশ জারি করা হয়েছে জানিয়ে ক্ষমা চান তিনি। এরআগে গত বুধবার (৩১ জুলাই) হাইকোর্টের তলবে হাজির না হওয়ায় আদালত উষ্মা প্রকাশ করে মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুককে আবারো আজ বৃহস্পতিবার তলব করেন। ড. সৈয়দ মো.গোলাম ফারুকের আইনজীবী ওইদিন আদালতে ক্ষমা চান।
আদালতে ১৯ শিক্ষক-কর্মচারীর আবেদনের পক্ষে ছিলেন-আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্ল্যাহ মিয়া। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম রাহুল ও আইনজীবী সোহরাওয়ার্দী সাদ্দাম। মাউশির ডিজির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. মুশফিকুস সালেহীন।
এ বিষয়ে আইনজীবী ছিদ্দিক উল্ল্যাহ মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, ঝিনাইদহের সালেহা বেগম ডিগ্রি কলেজের ১৯ শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করতে ২০১৭ সালের ১৩ মার্চ রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের করা হলে ২০১৮ সালের ৬ আগস্ট তা খারিজ করেন আপিল বিভাগ। এর মধ্যে হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন না করায় ১৯ শিক্ষক আদালত অবমাননার মামলা করেন।
এ আবেদনের পর ১৮ ডিসেম্বর আদালত অবমাননার রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সর্বশেষ ১৬ এপ্রিল তাকে এক সপ্তাহ সময় দেন। তারপরও আদেশ বাস্তবায়ন না করায় আদালত তাকে তলব করেন। এর আগে গত ২১ জুলাই মাউশির ডিজিকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট।




Discussion about this post