২০১৭ এবং ২০২০ সালের এম সি কিউ উত্তীর্ণ শিক্ষানবীশ আইনজীবীরা লিখিত পরীক্ষা মওকুফ করে মৌখিক পরীক্ষার তারিখের জন্য বিগত ৭ই জুলাই হইতে অদ্যাবধি অর্থাৎ একটানা ৯৬ দিন প্রতীকি অনশন পালন করে আসছে।
আগামী ১২ ই অক্টোবর আন্দোলনের ১০০ তম দিন উপলক্ষে বাংলাদেশ সম্মিলিত শিক্ষানবীশ আইনজীবী পরিষদ কর্তৃক (১২-১৪)ইং অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে মহাসমাবেশের ঘোষণা করা হয়েছে। উক্ত পরিষদের আহ্বায়ক ফজলে রাব্বি স্মরণ এবং প্রধান সমন্বয়ক এ কে মাহামুদ এই সমাবেশের ঘোষণা দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা ৯০০০০ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র ১৩০০০ এম সি কিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এবং এম সি কিউ রেজাল্টের পরে আজ ৮ মাস হয়ে গেছে এখন পর্যন্ত তাদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর বার কাউন্সিল থেকে লিখিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করার পরেও তারা পরীক্ষা নিতে পারেণি এবং পরবর্তীতে বার কাউন্সিল পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেয়।২০১৭ সালের পরে ৩ বছর পর একটি লিখিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা হয়েছিল কিন্তু তারা পরীক্ষা নিতে ব্যর্থ হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষানবীশ আইনজীবীরা আরও বলেন, দেশের সকল মাধ্যমের পরীক্ষার্থীদের অটোপাশ দিয়ে দিচ্ছে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। আজ মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী এইচ এস সি পরীক্ষার্থীদের জে এস সি এবং এস এস সি রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে অটো পাশের ঘোষণা করেণ এবং একই সাথে এই বছর পরীক্ষা নেয়ার কোন পরিস্থিতি নেই বলে উল্লেখ করেণ। অথচ আজকে প্রায় ১০০ দিন ধরে পেশায় বৈধভাবে কাজ করার লাইসেন্স এর জন্য বার কাউন্সিলের বিজ্ঞ অভিভাবকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে যাচ্ছি কিন্তু তারা আমাদের দিকে ফিরেও তাকালেন না।
আমরাও তো এই দেশের নাগরিক। নিয়মিত পরীক্ষা হলে আমরা আজকে রাজপথে থাকতাম না। তাই আগামী ১২-১৪ অক্টোবর আমরা লিখিত পরীক্ষা মওকুফ করে মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার মানবিক এবং নায্য দাবী আদায়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,মাননীয় আইনমন্ত্রী এবং বার কাউন্সিলের বিজ্ঞ অভিভাবকের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মহাসমাবেশ কর্মসূচি এবং সেই সাথে আমাদের আমরণ প্রতিকী অনশন কর্মসূচি পালন করব ইনশালাহ।
উল্লেখ্য, শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের ৩ বছর পর এম সি কিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় বিগত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ইং সালে। বিগত পরীক্ষাগুলোতে এম সি কিউ পরীক্ষার ২-৩ মাসের ভিতর সাধারণভাবে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও করোনা মহামারীর কারণে ৮ মাস হয়ে গেলেও লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। বার কাউন্সিল ২৬ সেপ্টেম্বর পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করলেও গত ২০ সেপ্টেম্বর হল না পাওয়ার কারণে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ দেয়।
Discussion about this post