প্রায় এক যুগ আগে গাজীপুর আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবির বোমাহামলায় আইনজীবী নেতাসহ ৮ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। এ ছাড়া ফাঁসির দণ্ড মওকুফ করে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দুজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
এ মামলায় বিচারিক আদালত জেএমবির দশ সদস্যকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিল। এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে এ রায় দিল হাইকোর্ট।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকা ৬ জঙ্গি হল— এনায়েতুল্লাহ ওরফে ওয়ালিদ, আরিফুর রহমান, সাইদুর রহমান মুনশি, আবদুল্লাহ আল হোসাইন, নিজামুদ্দিন রেজা, তৈয়বুর রহমান ও আদনান সামি।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হল— মসিদুল ইসলাম ও আদনান সামি। অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছে আশরাফুল ইসলাম ও শফিউল্লাহ।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গাউন গায়ে আইনজীবীর বেশ ধরে ২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির দুই নম্বর হলে ঢুকে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গি সংগঠন জেএমবির আত্মঘাতী সদস্য আসাদ ওরফে জিয়া ওরফে নাজির ওরফে নাহিদ। এতে হামলাকারী জেএমবি সদস্যসহ আইনজীবী আমজাদ হোসেন, গোলাম ফারুক, নূরুল হুদা, আনোয়ারুল আজিম, বিচারপ্রার্থী আব্দুর রব, বছির উদ্দিন, মর্জিনা আক্তার ও শামছুল হক ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
হামলার দিনই জয়দেবপুর থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করা হয়। দুই বছর পর ২০০৭ সালের ৪ জুলাই পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ জেএমবি নেতা এনায়েত উল্লাহ জুয়েল, আরিফুর রহমান আরিফসহ ১৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয়।
মামলার আসামিদের মধ্যে শায়খ আবদুর রহমান, আতাউর রহমান সানি, খালেদ সাইফুল্লাহ সিরাজসহ চারজনকে ঝালকাঠির বিচারক হত্যা মামলায় আগেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
এ ছাড়া আরেক আসামি মোল্লা ওমর শাকিল কুমিল্লার একটি ঘটনায় নিহত হন। বাকি আসামিরা আদালতে হাকিমের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। এছাড়া মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৭০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন
Discussion about this post