
নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ জানাজার জন্য জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আনা হয়েছে।
রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমঘর থেকে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স সংসদ ভবন চত্বরে আনা হয়। এখানে তার প্রথম জানাজা হবে সকাল সাড়ে ১০টায়। এর পর দুপুর ১২টায় ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এর পর তৃতীয় জানাজা দুপুর ২টায় ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। বাদ আসর বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন আদর্শবান-ত্যাগী-নিবেদিতপ্রাণ ও সর্বজনস্বীকৃত এই নেতা।
বৃহস্পতিবার রাতে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইন্তেকাল করেন সবার প্রিয় রাজনীতিবিদ সৈয়দ আশরাফ। তিনি ফুসফুস ক্যানসারে ভুগছিলেন। শনিবার তার লাশ দেশে আনা হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা সৈয়দ আশরাফের ভাই সাফায়েত-উল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে মরদেহ গ্রহণ করেন। সৈয়দ আশরাফের একমাত্র মেয়ে রীমা ইসলামও এ সময় সঙ্গে ছিলেন।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে বেইলি রোডে সৈয়দ আশরাফের সরকারি বাসভবনে নেয়া হয়। সেখানে প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো দেখতে ভিড় করেন আত্মীয়স্বজন ও তার রাজনৈতিক সহকর্মীরা। সেখানে এক শোকবহ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকে। সেখান থেকে রাতেই মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমঘরে নেয়া হয়।
২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকেই সৈয়দ আশরাফ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছিলেন। অসুস্থতার কারণে তিনি গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদ থেকে ছুটি নেন। এ অবস্থায়ই একাদশ সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে নৌকা প্রতীকে জয়ী হন সৈয়দ আশরাফ। দেশে ফিরে শপথ নিতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছ থেকে সময় চেয়ে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা আর হল না। অগণিত নেতাকর্মী আর শুভানুধ্যায়ীদের কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন সবার প্রিয়ভাজন সৈয়দ আশরাফ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় থাইল্যান্ডের ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।




Discussion about this post