
নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নে ভোটের রাতে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় দায়ের মামলার আসামি সালাউদ্দিনকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সালাউদ্দিন চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্য বাগ্যা গ্রামের টোকাইয়ের ছেলে এবং ধর্ষণ মামলার ৯নং আসামি।
শনিবার রাত ২টার দিকে ফেনীর সুলতানপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ নিয়ে এই মামলার ৮ আসামিকে গ্রেফতার করা হলো। গ্রেফতার অন্যরা হলেন, গণধর্ষণের মূলহোতা চরজুবলী ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন (৪০), প্রধান আসামি মো. সোহেল (৪০), মো. বেচু (২৫), মো. স্বপন (৩৫), বাদশা আলম ওরফে কুড়াইল্যা বাসু (৪০), জসিম উদ্দীন ওরফে প্রকাশ জইস্য (৩৫) ও হাসান আলী ভুলু (৬০)।
চরজব্বর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল জানান, রাতে সুলতানপুর এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে নোয়াখালী ডিবি পুলিশের একটি দল। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য এবং পলাতকদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
গত ৩০ ডিসেম্বর ভোট কেন্দ্রে ধানের শীষে ভোট দেয়া নিয়ে নৌকার এজেন্টদের সঙ্গে ওই নারীর তর্ক হয়। সে সময়ে তারা তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।
পরে রাতে পেশায় অটোচালকের স্ত্রী ও চার সন্তানের জননীকে তাদের বাড়িতে এসে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে ক্ষমতাসীন দলের নেতা রুহুল আমিন মেম্বারের নেতৃত্বে গণধর্ষণ করা হয়। বর্তমানে ওই নারী নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে মারধরে আহত স্বামীও চিকিৎসাধীন।
ডাক্তারি পরীক্ষায় ওই নারীকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. খলিল উল্যাহ। পরে এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে চরজব্বর থানায় মামলা দায়ের করেন।




Discussion about this post